চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (২৬ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বাদে আসর থেকে পৌরসভাস্থ আলোচনা সভা ও সমাবেশ শুরু হয়। পরে মাগরিবের পর চন্দনাইশ কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সম্মেলনের মূল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপি সভাপতি এম. আইনুল কবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি এম. এয়াকুব আলী।
চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকতার উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা এলডিপির উপদেষ্টা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আইয়ুব কুতুবী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনছুর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশা, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদুর রহমান বাবুল, পৌরসভা এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আবদুল মাবুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আল মাসুদ।
প্রধান অতিথি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, “নমরুদ এবং ফেরাউনের যুগ শেষ, এখন নবীর যুগ শুরু। খুনি হাসিনা ১৬ বছর ধরে দেশকে নমরুদের মতো শাসন করেছেন। এ সময় দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ বা বাস করতে পারেনি। আল্লাহর ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এখন দেশে নবীর শাসনের মতো একটি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে পুলিশ কাজ না করায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। থানায় পুলিশ আছে, কিন্তু তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশকে দায়িত্বশীল হতে হবে। ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ চলে গেছে, কিন্তু ডাকাতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। যারা চাঁদাবাজি করছে বা মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত, তাদের নামের তালিকা আমাকে দিন। আমি নিজেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
সভায় বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, এবং ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে উপস্থিত হন।