ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শনিবার ভোরে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে বাস চালক এবং অন্তত এক শিশুও রয়েছে। সাও পাওলো থেকে এএফপি জানায়, ফেডারেল হাইওয়ে পুলিশ (পিআরএফ) জানিয়েছে, মিনাস গেরাইস রাজ্যে একটি বাস এবং ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে বাসটিতে আগুন লেগে যায়। এটি ২০০৭ সালের পর থেকে ব্রাজিলের মহাসড়কের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সিভিল পুলিশ এ দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু এবং ৯ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, উত্তর-পূর্ব বাহিয়া রাজ্যের সাও পাওলো থেকে ভিটোরিয়া দা কনকুইস্তা যাওয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে বাসটির একটি টায়ার বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের পর অন্য একটি গাড়িও বাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
স্থানীয় দমকল বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাসটির ভিতরে কিছু যাত্রী আটকা পড়ে মারা গেছে এবং ধ্বংসাবশেষ থেকে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ সরানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে।
শনিবার সকালে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে, মিনাস গেরাইস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের লেফটেন্যান্ট আলোনসো ভিয়েরা জুনিয়র জানান, ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে একটি ক্রেনের প্রয়োজন হবে। প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা একে ‘ভয়াবহ ট্রাজেডি’ অভিহিত করেছেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, একইসঙ্গে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের পুনরুদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। মিনাস গেরাইসের গভর্নরও বলেছেন, এই ট্রাজেডি মোকাবিলার জন্য তিনি সর্বোচ্চ মানবিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এটি ব্রাজিলে চলতি বছরে সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় ঘটনা, কারণ এর আগে নভেম্বর মাসে ব্রাজিলের আলাগোয়াসে একটি পাহাড়ী রাস্তায় বাসের গিরিখাতে পড়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।