শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

বাঁশখালীতে পানি নিষ্কাশন পথবন্ধ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি,বেড়েছে মশার উপদ্রেব

বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

চট্রগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে পানি নিষ্কাশনে পথ বন্ধ করে দেয়াতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় একদিকে জন দুর্ভোগ যাতায়াতকারীরা, অপরদিকে ময়লাযুক্ত জমাটকৃত পানি থেকে ব্যাপক হারে বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রেব। এতে ডেঙ্গুসহ নানা রোগের ঝুঁকিতে এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ।কিন্তু দেখার কেউ নেই।

১৫ মে (বুধবার)  সকালে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়,উপজেলার ৭ নং সরল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মিনঝিরতলা বনাকাঁটার চাঁদমিয়া বাজার নামক এলাকায় খালের উপর নির্মিত পানি নিস্কানের যে কালভার্ট রয়েছে সেটি বন্ধ,প্রাচীনতম খালটি ভরাট করে দোকান নির্মাণ করার দৃশ্য। স্থানীয় রাসেল চৌধুরী নামে এক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে রাতারাতি দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এসময় স্থানীয়রা বলেন, এই এলাকার স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসায় পড়ুয়া শত শত শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লী ও বসবাসরত অন্তত ৫-৭ হাজার মানুষের একমাত্র  চলাচল মাধ্যম হচ্ছে এই সড়কটি।

আর প্রভাবশালী রাসেল চৌধুরীর নেতৃত্বে যেই খালটি ভরাট করে দোকান তৈরি করছে সেই খালটি ওই এলাকার পানি চলাচল করার শত শত বছরের প্রাচীনতম খাল। ওই খাল ভরাট করে দোকান নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়াতে সম্প্রতি দুই /তিন দিনের বৃষ্টিতে পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে কাঁদা ও ময়লাযুক্ত পানির সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি।

এতে একদিকে চরম দুর্ভোগে পড়েছে চলাচলকারীরা, অপরদিকে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রেব। এছাড়াও কাঁদা ও ময়লাযুক্ত দূষিত পানির কারণে চলাচলকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পায়ে এলার্জি জনিত চুলকানি ও চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

সাংবাদিকদের দেখে ওই এলাকার অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে প্রভাবশালী রাসেল চৌধুরীর এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।

মিনজিরিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ রাকীব,  মাহিয়া মনি বলেন, এখানে পচা পানির কারণে আমাদের পায়ে চুলকানি হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, আমার নিজের পায়েও চুলকানি হয়ে গেছে,কিন্তু এলাকার মানুষের সাড়া পাচ্ছিনা বলে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনাই। যেহেতু তাদের কোন পক্ষই আমাকে এবিষয়ে কিছু বলেনাই।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাসেল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করলেও ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ওই পানি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম  প্রাচীনতম খালটি দখলমুক্ত করা না হলে বর্ষার মৌসুমে আরো চরম দুর্ভোগে পড়বে পুরো এলাকার মানুষ। তাই খালটি দখলমুক্ত করে যথাযথ পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ