২৭ এপ্রিল (রোজ শনিবার)চট্টগ্রামে বহদ্দার হাট এককিলোমিটার এলাকায় একটি ফার্নিচার তৈরীর কারখানায় অবৈধভাবে ৬০o বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে । যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৯ লক্ষটাকা বলে জানানো হয় ।
এদিকে গোডাউনের মালিক মোহাম্মদ আবদুর রব্বানী জানান কাট ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং তার পরিচিত জাহিদকে এই গোডাউন ভাড়া দেন । কিন্ত তিনি জানতেননা যে এখানে অবৈধ চিনি রেখেছেন ।
শনিবার দুপুর একটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত সিদ্দীকির নেতৃত্বে চান্দগাঁও থানার এসআই সুজন ও এসআই সালেহীন সহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এই অভিযান চালান ।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান এগুলো অবৈধভাবে আসলেও দেশীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মোড়ক লাগিয়ে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করার জন্য এখানে রাখা হয়েছে ।
যদিও বা প্যাকেটের গায়ে কোন উৎপাদন তারিখ কিম্বা এক্সপেয়ার ডেইড লেখা ছিলনা ।
গোডাউনের মালিক রব্বানী বলেন গত দশ বারদিন আগে কাট ব্যাবসায়ী জাহেদ কাট বা গাছ রাখার জন্য এই গোডাউনটি ভাড়া নেয়ার কথা বললেও চিনি বা অন্য কিছু রাখার কথা বলেননি ।
কৃষি বিপনন কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মোর্শেদ কাদের জানান দেশীয় চিনি দেখতে সাদা হলেও যে চিনিগুলো জদ্ব করা হয়েছে তা একটু লালচে ধরনের এ থেকে সন্দেহ হয় যে এগুলো ভারতীয় চিনি এবং এগুলো চোরাই পথে এসেছে এটাই তারা প্রমান পেয়েছে।
প্রথমেই ম্যাজিষ্ট্রেট গোডাউনের মালিক আবদুর রব্বানীকে তিনলক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড দেয়ার কথা থাকলেও পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন । কারন তিনি বলেন যেহেতু এই চিনিগুলো চোরাইপথে ভারত থেকে আনা হয়েছে তাই এটা চোরাচালান আইনের মামলায় পড়বে ।
পরবর্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট আইনি পক্রিয়া শেষ করে চান্দগাঁও থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন গোডাউনের মালিক গোলাম রব্বানীকে । পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন নিয়মিত মামলায় মামলা করা হবে ।