হত্যা করে পালিয়ে থাকার এক মাস পর পটিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ধরা পড়লো রুপেশ দে(৪১)।সে কেলিশহর ৬ নং ওয়ার্ডের ননী দে’র সন্তান।
চলতি বছরের গত ৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল বেলা জানিক দে(৭১) কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো দা দিয়ে মুখে আঘাত করে। দা দিয়ে আঘাতের পর জানিক দেকে ঘুষি মেরে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় রুপেশ।
এ ঘটনায় জানিক দে’র মৃত্যু হলে তার পুত্র আশিষ দে, রুপেশ দে’কে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার পর রুপেশ দে পাশ্ববর্তী জঙ্গলে পালিয়ে থাকলেও গভীর রাতে নিজ ঘরে আসা যাওয়া করতো। এমনকি প্রতিদিন তার জন্য খাবার নিয়ে যেত প্রতিবেশী এক পরিবার।
এক পর্যায়ে পুলিশের নজরদারি বেড়ে গলে রুপেশ সেখান থেকে অন্যত্র সরে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নূর মোহাম্মদ জানান, আসামিকে ধরার জন্য মামলার শুরু থেকে তৎপরতা ছিলো। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জোরারগঞ্জ এলাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত করা গেলে, অভিযান পরিচালনা করে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নূর মোহাম্মদ জানান, আসামি রুপেশ হত্যাকান্ডের পর থেকে পালিয়ে থাকলেও, প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে জোরারগঞ্জ থেকে গত ২০ তারিখ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করি।
পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দীন জানান, জানিক দে হত্যাকান্ডের আসামি রুপেশ দে’কে জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে জানিক দে’কে হত্যার দায় স্বীকারোক্তি করেছে।