রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

নতুন ট্যারিফে ভারী যানবাহন প্রবেশ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ বেসরকারি ডিপোতেও একই অবস্থা, সংকট নিরসনে আজ বৈঠক

বন্দরে চার দিন ধরে কন্টেনার ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত

চট্টগ্রাম বন্দর

অনলাইন ডেস্ক

 

চট্টগ্রাম বন্দর
বন্দরে চার দিন ধরে কন্টেনার ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফে ভারী যানবাহন প্রবেশের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত চার দিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বেসরকারি ডিপোতে কন্টেনার ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিকেরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেয়ায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে চলমান সংকট নিরসনে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রোববার দুপুরে আন্দোলনকারীদের সাথে বৈঠক আহ্বান করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতিত্বে আজ দুপুরে বন্দরের কনফারেন্স হলে এই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ৬টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গত ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবার ট্যারিফ গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন ট্যারিফ কার্যকর করা হয়। এর মধ্যে ভারী যানবাহনের প্রবেশে আগে মাশুল ছিল ৫৭.৫০ টাকা। তা প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি করে ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এরপর থেকে অঘোষিতভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন মালিক–শ্রমিকেরা। এর মধ্যে একদিন বন্দরের গেটে আড়াআড়িভাবে গাড়ি রেখে সব ধরনের গাড়ির প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া ঠেকানো হয়।

গতকাল সকাল থেকে সমিতির আওতাধীন প্রাইম মুভার চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি বেসরকারি ডিপোগুলোর মালিকানাধীন প্রাইম মুভার চলাচলেও বাধা দেয়া হয়। দুপুরে নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন প্রাইম মুভার মালিক সমিতি ও শ্রমিকেরা। এ সময় বন্দরমুখী প্রাইম মুভার ও লরিগুলোকে বাধা দিতে দেখা যায়। হ্যান্ডমাইক হাতে তারা গাড়িগুলোর পথ আগলে বন্দরে প্রবেশ না করার নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্ধিত ট্যারিফ প্রত্যাহার করে আগের মতো ৫৭.৫০ টাকা না করা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমের সাথে এসব প্রাইম মুভার গুরুত্বপূর্ণ। কন্টেনার পরিবহন এসব প্রাইম মুভার ছাড়া সম্ভব হয় না। ডিপো থেকে বন্দরে এসে জাহাজে তুলে দেয়া এবং জাহাজ থেকে নামার পর ডিপোতে কিংবা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার পুরো কার্যক্রম এসব প্রাইম মুভার করে। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ কন্টেনার হ্যান্ডলিং কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খান মোহাম্মদ সেলিম বলেন, শ্রমিকদের একটা অংশ গাড়ি চালাতে চাইছে, কিন্তু মালিকেরা রাজি না হওয়ায় চালানো যাচ্ছে না।

মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বাড়তি মাশুল কে দেবেন? শ্রমিক নাকি মালিক সেটা পরিষ্কার না হওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে ১৪ অক্টোবর রাত থেকে ট্রেইলার চলাচল করছে না। আগে শ্রমিকেরা এই ফি পরিশোধ করলেও এখন তারা বলছেন, তারা দেবেন না। মালিকেরাও এই বাড়তি ফি পরিশোধ করতে রাজি হচ্ছেন না।

বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, কর্মসূচির কারণে ডিপো থেকে বন্দরে রপ্তানি পণ্যবোঝাই কন্টেনার পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আমাদের ডিপোর মালিকানাধীন প্রাইম মুভারগুলোকেও চলাচলে বাধা দেয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আজ মাননীয় চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠক হবে। বৈঠকে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ