রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি চলছে না

বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি চলছে না, সিঅ্যান্ডএফও কর্মবিরতিতে

চট্টগ্রাম বন্দর

অনলাইন ডেস্ক

 

 

চট্টগ্রাম বন্দর
বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি চলছে না, সিঅ্যান্ডএফও কর্মবিরতিতে

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে নতুন ট্যারিফ শিডিউলে পণ্যবাহী গাড়ির গেইট পাসের ফি বৃদ্ধির ঘটনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রাইম মুভার, ট্রেইলার মালিকরা নিজেদের গাড়ি চালাচ্ছেন না ১৪ অক্টোবর রাত থেকে।

একই দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্তঃজেলা ট্রাক মালিক সমিতি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা পালন করছেন চার ঘণ্টার কর্মবিরতি।

ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে একধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করার কথা রয়েছে বন্দর চেয়ারম্যানের।

 

সূত্র জানায়, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ভারী গাড়ি প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করায় কনটেইনার পরিবহনের ট্রেইলার চালাচ্ছেন না মালিকরা। ব্যক্তি মালিকানার এসব ট্রেইলার আন্তঃজেলা রুটে কনটেইনার পরিবহন করে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ডিপো বা অফডকের ট্রেইলার চলছে।

চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়, প্রাইম মুভার মালিকরা ৫৭ টাকার পাস ২৩০ টাকা করায় গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ভারী গাড়ি (প্রাইম মুভার, ট্রেইলার, লং ভ্যাহিক্যাল) যখন ঢাকা বা কোনো গন্তব্যে যায় তখন আমাদের লাইন খরচ (ফি, টোল, বকশিশ) ফিক্সড করা থাকে। তেলের দাম বাড়লে সেটি রিভাইস করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তার) সঙ্গে কথা বলেছি। বন্দর চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে এলে আবার আলোচনা হবে আশাকরি।

তিনি জানান, ১৪ অক্টোবর রাত থেকেই আমাদের ট্রেইলার চলাচল করছে না। গেইট পাসের ফি বৃদ্ধির ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও স্টেক হোল্ডাররা নিজ নিজ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও শ্রমিকরা রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন।

এদিকে, প্রাইম মুভার মালিকদের ট্রেইলার, আন্তঃজেলা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল না করা এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তাদের আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে একসময় অচলাবস্থা তৈরি হবে। তাই নতুন ট্যারিফ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আলোচনা ও সমন্বয় প্রয়োজন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নেভি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবায় অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপের প্রতিবাদে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন ট্যারিফ সমস্যার সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেইলার ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বন্দরের হ্যান্ডলিং ও অপারেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ