রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

চট্টগ্রাম রেলওয়ের থানার ওসি ও আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীদের সাথে যোগসাজশে ভাসমান দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এসএম শহিদুল ইসলাম ও পালিয়ে থাকা আ্ওয়ামী লীগ দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে যোগসাহশে তার নিয়ন্ত্রনাধিন এলাকায় শতাধিক ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও উক্ত ওসির বিরুদ্ধে যাত্রী ও স্থানীয়দের হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।আওয়ামীলীগ আমলে এই কর্মকর্তা এমপি মন্ত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে নামে বেনামে চট্টগ্রাম নগরীতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে। জড়িয়ে পড়েন ভূমিদস্যুতা ও মাদক ব্যবসার সাথে।এর আগেও চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি ছিলেন।
২০২৩ সালে আওয়ামী সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মদদপুষ্ট হিসেবে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে আবারও ওসি হিসেবে যোগদান করেন।
রেলওয়ে স্টেশনকে ইয়াবা ব্যবসার সাম্রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলেন।এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন,এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতেন।
সাইফুল, মন্জু ও আসলাম বলেন তার খুঁটির জোর কোথায় কে জানে? এত অপকর্মের পরেও কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে থানায় থাকে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন ওসি শহিদুল ইসলাম খুবই দুরন্তপনার লোক, এর আগেও রেলওয়ে স্টেশনে ওসি ছিলেন।
তদবির করে পূনরায় রেলওয়ের ওসি হিসেবে এসেছেন। আওয়ামী লীগ আমলের চেয়ে এখন দাপট বেশী দেখিয়ে রয়ে গেছেন একই থানার ওসি। অথচ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর প্রায় থানার ওসি বদলি হয়েছে।
মাদক ব্যবসা ছাড়াও রেলওয়ে স্টেশন ও সংলগ্ন বেশকিছু দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা ভাড়া তোলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।বেশকিছু দোকানদার বলেন আওয়ামীলীগ আমলের চেয়ে বর্তমানে আরো বেপরোয়া ওসি শহিদুল ইসলাম।মাসিক মাসোহারা দিতে একটু দেরী হলেই হুমকি ধামকি দেয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে,চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে অবৈধ শতশত ভ্রাম্যমান দোকান রয়েছে।এসব দোকানে দিনেরাতে ইয়াবা বিক্রি হলেও কোন ব্যবস্থা নেন না ওসি শহিদুল ইসলাম।
সানী নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন আমাদের সম্পদ জাল জালিয়াত করার সঙ্গে ওসি শহিদুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে।আমাদের ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে জায়গা দখল নেয়ার জন্য ভূমিদস্যুদের সাথে বারবার বৈঠকে বসেন ওসি শহিদুল ইসলাম।আমরা তদন্ত পূর্বক ওসি শহিদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন করছি।

এ বিষয়ে ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক না। বদলীর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিষয়

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ