চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মোঃ আদিব (২৩) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে থানা পুলিশ। সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা, এরই মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠার পর নানা মহলে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে প্রশাসনের দাবি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, মূলত আটককৃত ব্যক্তি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিথ্যা লোভ দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকারী এক প্রতারক।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ২টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত অভিযুক্ত আদিব (২৩) উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বরুমচড়া চাঁদপুর গাজী বাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-র নজরে আসে, পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত আদিবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন নমুনা পাওয়া যায়।
এনএসআই সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার শুরুতে বাঁশখালীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীরা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করার অভিযোগের সংবাদ পেয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) একটি টিম বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে। এক পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য অভিযুক্ত আদিবের সন্ধান পান তারা।
পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) অনুসন্ধানী টিম। এতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলমের নেতৃত্বে ও বাঁশখালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আদিবকে আটক করা হয়।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, মূলত সে একজন প্রতারক। প্রশ্নের লোভ দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছিল অভিযুক্ত আদিব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি হয়তো প্রশ্নপত্রের লোভ দেখিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সুকৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ তৈরি করেছিল।