চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন মুক্তিযোদ্ধা কলোনী জালালাবাদ টাওয়ার সংলগ্ন দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মারধর ও মাদ্রাসা দখলের হুমকি প্রদর্শনকারী ভূমিদস্যু বিহারী মুন্না ও তার অনুসারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৪ঠা মার্চ বিকেলে মাদ্রাসা দখলের জন্য অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে বিহারী মুন্না,হারুন,আরিফ ও তাদের অনুসারীরা হামলা করে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন,আমরা আবুল হাশেম নামক ব্যক্তি হতে ২০১২ সালে দখলস্বত্ব কিনে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি।বর্তমানে চারজন শিক্ষক,একজন বাবুর্চি ও পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী রয়েছে।আমরা সরকারের কাছে লীজের আবেদন করলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয় কাট্টলি এসিল্যান্ডকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন।সরেজমিনে এসিল্যান্ড অফিসের জাহিদ হোসেন গেলে তাদের সামনেই মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক ওসমানকে মেরে রক্তাক্ত করে।মোবাইল সেট ও পকেটে থাকা সাত হাজার টাকা নিয়ে নেয়।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতে সিআর করলে খুলশী থানাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন। এখনো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভয়ে ও আতংকে আছে।আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোরআনে হাফেজরা তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
সন্ত্রাসী বিহারী মুন্না যেকোন সময়ে পুনরায় হামলা করে মাদ্রাসা ভাংচুর করার হুমকি দিচ্ছে। তাছাড়া এই মুক্তিযোদ্ধা কলোনীতে একটি ভূমিদস্যু চক্র দীর্ঘদিন জায়গা দখল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী।দুদক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে এসব অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পশ্চিম খুলশীর সাধারণ মানুষের আতংক চিন্থিত সন্ত্রাসী বিহারী মুন্না ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করতে সিএমপি পুলিশ কমিশনার খুলশী থানার ওসি ও যৌথবাহিনির সহায়তা চেয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ



