চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা আসন্ন ঈদ ও মাহে রমজানকে সামনে রেখে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণ এবং ইফতার পার্টির আদলে যার যার সংসদীয় এলাকায় নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকে ইফতার পার্টির নাম দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় মত বিনিময়, আলোচনা সভা এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ গোছাতে নেমেছে।
এর মধ্যে মাঠে ময়দানে স্বক্রিয় হতে দেখা গেছে বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে সীতাকুন্ডে বিএনপির চেয়াপার্সনের উপদেষ্ঠা অধ্যাপক লায়ন আসলাম চৌধুরী, হাটহাজারী-বায়োজিদ আসনে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। রাউজান আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি গোলাম আকবর খোন্দকার। রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দীন বাহার। ফটিকছড়ীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এবং বাংলদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ খুরশীদ জামিল, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর। পটিয়া আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ। কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ¦ শামশুল আলম, নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহিলা দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা। বোয়ালখালী-চান্দগাঁও বায়োজিদ আসনে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। খুলশী-ডবলমুরিং-পাহাড়তলী আসনে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের পুত্র সাঈদ আল নোমান তুর্য, নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী। আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরওয়ার জামান নিজাম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান। চন্দনাইশ-আংশিক সাতকানিয়া আসনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম এ হাশেম রাজু, আরফাতুর রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, বিএনপি নেতা এডভোকেট মিজানুর রহমান। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নাজমুল মোস্তফা আমিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি জন্নাতুন নাঈম চৌধুরী রিকু। বাঁশখালী আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী।সহ প্রতিটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে ময়দানে স্বক্রিয় হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা সামনে রেখে তারা মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছে। এ বিষয়ে আরফাতুর রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী বলেন, আমরা দলের পক্ষে যখন কেউ কথা বলার ছিল না তখন আমরা রাজনীতি করেছি, যেহেতুৃ রাজনীতি করি দলের মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার রাখি এবং সেটা মাথায় রেখে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, দলকে ভালোবেসে মূলত কাজ করে যাচ্ছি যখন যেভাবে নির্দেশনা আসবে সেভাবে পালন করব।
এ বিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেন, আমি দল পাগল একজন মানুষ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলীয় প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে পালন করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে ইফতার মাহফিলগুলো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও কারণ অকারণে দলীয় কর্মসূচিতে পরিনত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে হাজার হাজার নেতা কর্মী জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা এখন কিছুটা মুক্ত বাতাসে নিঃশ^াস ফেলার সুযোগ পাচ্ছে মাত্র।
এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, যেহেতু আমি নির্বাচন করার ঘোষণা অনেক আগ থেকে দিয়ে দিয়েছি। সেহেতু আমার মাঠ পথে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই প্রার্থী অনেক আছে আমিও তাদের মধ্যে একজন দল যাকে মনোনিত করবে আমরা তার হয়ে কাজ করব।
এ বিষয়ে র্বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর বলেন, বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের সাথে আমার প্রয়াত পিতা সাবেক এমপি মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে সম্পর্ক ছিল। বাঁশখালীর মানুষ আমার পিতাকে অন্ধরমত করে ভালোবাসতেন আমার পিতা বাঁশখালীর মানুষকে ছেড়ে কখনো দুরে যায়নি। উনার সন্তান হিসেবে বাঁশখালীর মানুষের সেবা করার মানসে রাজনীতি করে যাচ্ছি বাঁশখালীর মানুষও আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের আমার পিতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সম্মানিত করে যাচ্ছে।
ঈদ রমজানকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের প্রস্তুতি চট্টগ্রামে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক