শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

জলবায়ু রক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে মোস্তাফা আল মোমিনের প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোস্তাফা আল মোমিনের বিশ্বমঞ্চে ওড়ালেন লাল-সবুজের পতাকা। জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় রক্ষায় তাঁর উদ্ভাবিত বৈদ্যুতিক গাড়িতে এসেছে এই সাফল্য।

আমিরাতের আবুধাবিতে জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে মোস্তাফার বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পালকি মোটরস। তিনি পালকি মোটরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

আবুধাবি জাতীয় প্রদর্শনী কেন্দ্রে (অ্যাডনেক) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১২ কোটি টাকা) এ পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। বিশ্বের ১১টি সংস্থা ও উচ্চ বিদ্যালয় এ পুরস্কার পেয়েছে। জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

তিন বছর আগে মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে পালকি মোটরস শুরু করেন। বর্তমানে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় প্রতিষ্ঠানটির কারখানা রয়েছে। গত তিন বছরে ৭৫টি গাড়ি বাজারজাত করেছেন তারা। মাসে আটটি পর্যন্ত গাড়ি তৈরি করতে পারেন তারা। চালুর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন। পুরস্কারের এই অর্থে মাসে গড়ে ১০০টি গাড়ি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন বলে তাঁর আশা।

বিশ্বের ১৫১টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এনার্জি ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশ থেকে পালকি মোটরস মনোনীত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে নাইজেরিয়া ও বেলজিয়ামকে পেছনে ফেলে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করি। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করবে।

পালকি মোটরসের গাড়িগুলো জ্বালানিতে ৯০ শতাংশ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ে ৫০ শতাংশ সাশ্রয়ী। গাড়িগুলোতে ব্যাটারি-সোয়াপিংয়ের সুযোগও রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ২০ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি ও ২০ হাজার বৈদ্যুতিক লরি বিক্রির মাধ্যমে বার্ষিক ২ লাখ ৬০ হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

পালকি মোটরসের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ তাইউম হোসেন সজল সমকালকে জানান, তাদের মূল লক্ষ্য দেশেই সম্পূর্ণ গাড়ি তৈরি করা। এখন ব্যাটারি ও মোটর আমদানি করতে হয়। এটিও যেন না লাগে। কম দামে কমার্শিয়াল ড্রাইভারদের গাড়ির মালিক বানানো লক্ষ্য তাদের।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ