প্রতিবন্ধী কাকে বলে?
আপনি যাদের গালি দিচ্ছেন, প্রতিবন্ধী বলে, তারা কি ইচ্ছে কৃতভাবে নিজেকে প্রতিবন্ধী হন? আসুন, প্রতিবন্ধীদের অভিজ্ঞতা জানি।
প্রতিবন্ধীতা হল এমন কোনো অবস্থার অভিজ্ঞতা যা একজন ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কার্যকলাপ করা বা একটি নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার পাওয়া আরও কঠিন করে তোলে। অক্ষমতা জ্ঞানীয়, বিকাশমূলক, বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক, শারীরিক, সংবেদনশীল বা একাধিক কারণে সংমিশ্রণ হতে পারে। অক্ষমতা জন্ম থেকেই হতে পারে বা একজন ব্যক্তির জীবদ্দশায় অর্জিত হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে, অক্ষমতা শুধুমাত্র একটি সংকীর্ণ মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে স্বীকৃত হয়েছে-তবে, প্রতিবন্ধীতা বাইনারি নয় এবং ব্যক্তির উপর নির্ভর করে অনন্য বৈশিষ্ট্যে উপস্থিত হতে পারে। একটি অক্ষমতা সহজে দৃশ্যমান হতে পারে, বা প্রকৃতিতে অদৃশ্য হতে পারে।
ডাব্লিউ এইচ ডি পরিচালক নাছিমা ইসলাম চৌধুরী বৃষ্টি ঢাকা নয়াপল্টনে তার বাসায় এই আলোচনা সভা করেছেন।
WHO এর মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রকাশিত “International Classification of Impairment, Disability and Handicap (ICIDH)” শীর্ষক প্রকাশনায় বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী সমস্যাকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে: ১. দূর্বলতা (Impairment), ২. অক্ষমতা (Disability), ৩. প্রতিবন্ধী (Handicap)। বাংলাদেশে মোট ১২ ধরনের প্রতিবন্ধীতা নিয়ে কাজ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
প্রাথমিক প্রতিবন্ধীতা: বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে তাকে প্রাথমিক প্রতিবন্ধীতা বলা হয়।
পরবর্তী বা অর্জিত প্রতিবন্ধীতা: জন্মের পরে বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধীতা বরণ করলে তাকে পরবর্তী বা অর্জিত প্রতিবন্ধীতা বলা হয়।
কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়েছে তার ভিত্তিতে: অটিজম, সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, শারীরিক প্রতিবন্ধী (চলনে অক্ষম ব্যক্তি), দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, বহুবিধ প্রতিবন্ধী ইত্যাদি।
এই বিশ্লেষণের জন্য, লেখক তার মতামত প্রকাশ করেছেন এবং জাতীয় দৈনিক ‘মানব কণ্ঠ’ এর অজ্ঞতার কারণে তারা ময়ূক রঞ্জন এর মতো একজন হকার সাংবাদিককে প্রতিবন্ধীদের সাথে তুলনা করায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। দৈনিক মানব কণ্ঠ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে এবং এই লেখার জন্য ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। আপনাদের এত বড় ভুল কিভাবে দৈনিক পত্রিকা করে?
ড. নাছিমা ইসলাম চৌধুরী বৃষ্টি