গত ১৫ বছর ধরে নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে অভিযোগ। বিনাভোট বা নামমাত্র নির্বাচনে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কারের জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হয়।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিতর্কিত নির্বাচনের পথ চিরতরে বন্ধ করা। রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রোধের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করবে কমিশন।
কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, সংসদ নির্বাচনকালীন সরকার, এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। এর উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান, সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠনের প্রস্তাব করবে সংস্কার কমিশন। সার্চ কমিটিতে সরকারি দল, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কমিশনার পদে বিবেচনার আগে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ারও প্রস্তাব রয়েছে।
নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বদিউল আলম জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংসদে বিল উত্থাপন করা প্রয়োজন। এটি রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সংস্কারের প্রস্তাব দেবে কমিশন। এর মাধ্যমে দেশের মানুষ আবারও নির্বাচনী উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।