বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

হুমকি ও হেনস্থার প্রতিবাদে রাউজানে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির দুইপক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে
হানাহানি, গোলাগুলি করে এলাকায় আতংকসৃষ্টি, প্রশাসনকে ব্যাবহার করে এলাকার নিরীহ মানুষদের হয়রানি বন্ধের দাবী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকার কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ। ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউয়নের গুহরক্ষিত পাড়া দয়াময়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সংবাদ সম্মেলন করেন গ্রামের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে শতাধিক নারী অংশ নেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রামবাসির পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন শিরিন বেগম। আরও বক্তব্যে দেন শাহনাজ আকতার, মিনু আকতার,শাহিন আকতার, সকিনা বেগম প্রমুখ।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রীমা আক্তার, ছকিনা বেগম, নুসরাত জাহান, সখি আক্তার, মোহাম্মদ ফরহাদ, শামসুল আলম, মোহাম্মদ আবছার, মোহাম্মদ আজিজসহ অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে নারীরা জানান, সংঘাত, সংঘর্ষে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখানে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া আর গোলাগুলির শব্দে এলাকার সাধারণ মানুষ আতংকিত। তারা সংবাদ সম্মেলন থেকে হানাহানি বন্ধের দাবী জানায়। এছাড়া এলাকার পরিবেশ শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ প্রসাশনকে আহবান জানান। পাশাপাশি গত ১১ অক্টোবর সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ছাত্রদল নোয়াপাড়া ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ সাগর ও যুবদলের ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ পারভেজকে গুলি করার ঘটনার প্রতিবাদ এবং গুলি করা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান উপস্থিত নারী-পুরুষ।

সংবাদ সম্মেলনে নারীরা জানায়, বর্তমানে নোয়াপাড়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শূন্য। স্থানীয় মুহাম্মদ কামাল নামের একজন দলবল নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে।

সংবাদ সম্মেলনে নারীরা বলেন, আমরা হানাহানির বদলে শান্তি চাই। বর্তমানে এই এলাকার ভীতিকর পরিস্থিতিতে নারীরাও ঘরে-বাইরে হেনস্থার শিকার হচ্ছে। উঠতি বয়সী সন্তানদের নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকার অভিভাবকদের। তাদের অভিযোগ, গুলি করে এলাকায় আতংক সৃষ্টির পর উল্টো গ্রামের নিরীহ মানুষদের পুলিশদ্বারা হয়রানি করা হচ্ছে। নিরপরাধ লোকজনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

প্রতিবাদ করতে গেলে বলছে উপরের মহলের নির্দেশ আছে। এই উপর মহল কারা এলাকার লোকজন জানে।
যারাই প্রকৃত অপরাধী তারাই পুলিশ দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। এসব থেকে পরিত্রাণ চান এলাকার লোকজন। তারা কামালসহ আরো যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য গত তিন মাসে উপজেলায় অন্তত ১৮টি সংঘর্ষ, হামলা, গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫টিই সংঘটিত হয়েছে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী।

রাউজান থানা সূত্রে জানায়, রাজনৈতিক সংঘাতে হানাহানির ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অনেকেই মামলা করেননি। এ পর্যন্ত হানাহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১০টি।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ