শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

চিকনদন্ডী ইউনিয়নকে হাটহাজারী মডেল থানায় বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

জাহেদুল আলম জাহিদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী মডেল থানাকে পৃথক করার কাজ শুরু হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল জেলা পুলিশ সুপার হাটহাজারী মডেল থানাকে বিভক্ত করে “হালদা থানা” স্থাপনের জন্য প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত থানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পাঁচটি ইউনিয়ন: উত্তর মাদার্শা, দক্ষিণ মাদার্শা, চিকনদন্ডী, শিকারপুর ও বুড়িশ্বর।

এদিকে, চিকনদন্ডী ইউনিয়নের প্রায় ৮০ হাজার বাসিন্দা নতুন থানায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে পূর্বের হাটহাজারী মডেল থানার অধীনে থাকতে চান। বৃহস্পতিবার (গতকাল) দুপুরে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তাবিত হালদা থানায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদ জানান এবং চিকনদন্ডী ইউনিয়নকে হাটহাজারী মডেল থানায় বহাল রাখার দাবি তুলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কসংলগ্ন চিকনদন্ডী ইউনিয়নকে নতুন থানায় যুক্ত করা হলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রস্তাবিত থানার দূরত্বের কারণে পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া কঠিন হবে।

সাবেক চেয়ারম্যান মো. সেলিম লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৯ এপ্রিল হাটহাজারী থানায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মতামতের বিপরীতে জেলা পুলিশ সুপার এই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, যা ৮০ হাজার জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত হালদা থানা মদুনাঘাট এলাকায় স্থাপিত হবে, যা চিকনদন্ডী থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে বর্ষাকালে আইনি সেবা গ্রহণ দুরূহ হয়ে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা চিকনদন্ডী ইউনিয়নকে হাটহাজারী মডেল থানায় বহাল রাখার দাবি জানান এবং দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাজী আবুল মনসুর, আয়ান শর্মা, আইয়ুব খান, মোহাম্মদ ইউসুফ, নিজাম উদ্দিন হাকিম, সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল, নাসির উদ্দিন, রাশেদ আলী মাহমুদ, মো. আলমগীর, সৈয়দ আ. হোসেন, ইসা সফিক, মোহাম্মদ ইলিয়াস, জাকির হোসেন, কাওনাইন চৌধুরী টিপু, সৈয়দ সরোয়ার, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন মেম্বার, অহিদুল ইসলাম টিটু, মোরশেদ মেম্বার, হাজী বেলাল মিয়া, হাজী মো. সেলিম মুন্সী, মো. রফিক, আবুল বাশার, মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং মো. ইদ্রিস মেম্বার প্রমুখ।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ