আনোয়ারায় সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি অসহায় পরিবারের ভিটা-বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে হামলা, হত্যার হুমকি এবং বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি আনোয়ারা উপজেলার কালা বিবির দীঘিস্থ টানেল রেস্টুরেন্টে নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ বশির আহম্মদের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
শাহারিতা বশির লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তার পিতা তথা মোঃ বশির আহম্মদের পিতা আইয়ুব আলী জীবিত থাকাকালীন ১৯/০৯/২০০৪ ইং তারিখে রেজিস্টার্ড কবলা নং ৩৪৩৫ মূলে প্রতিপক্ষ মৃত মফিজুর রহমানের বড় ভাই আফাজুর রহমানের নিকট থেকে আর এস ১০৫০ নং দাগে ১ কড়া ও ১০৫২ নং দাগে ৩ কড়া জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আফাজুর রহমান (পিতা: মৃত আব্দুল আলী) উক্ত ভূমিতে দুই বছর বাস করার অনুরোধ করলে, প্রতিবেশী হওয়ায় মানবিক কারণে তার পিতা বসবাস করতে দেন। ইতোমধ্যে তিনি মারা গেলে, তার অসৎ সহোদর ভাই মফিজুর রহমান ও তার ছয় পুত্র উক্ত ভূমি জবরদখল করে এবং দখল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়।
এই প্রেক্ষিতে আনোয়ারা থানায় জিডি নং ১৩৮০/২৩ এবং ফৌজদারি মামলা নং ৩২৮/২৩ দায়ের করা হয়। মামলার পরবর্তী সময়ে বশির আহম্মদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনকে হত্যার হুমকি ও তার ছোট ভাই এয়ার মোহাম্মদকে হামলার শিকার করা হয়, যার প্রেক্ষিতে যথাক্রমে ৩০/০৯/২৩ এবং ১০/০৪/২৪ তারিখে দুটি জিডি হয়।
পরবর্তীতে ০৭/১১/২০২৩ তারিখে উক্ত বিষয় মীমাংসার জন্য শালিশী বৈঠক বসলে, শালিশকারকগণ যে মতামত দেন তা তারা মেনে নিয়েছে বলে বৈঠক ত্যাগ করে। তবে পরদিন মত পাল্টে ফেলে। আবারও থানায় ২০/০১/২০২৪ তারিখে বৈঠক বসলে তারা সিদ্ধান্ত মানবে বললেও তা আর মানেনি।
মাদকসেবী সোলায়মান গং সেনা ক্যাম্পে নালিশ দিলে, ০৩/০৩/২০২৫ তারিখে আমাদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে একটি নির্দিষ্ট তারিখে উক্ত জায়গা পরিমাপ করে মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ধার্য তারিখে জায়গা পরিমাপ করতে গেলে মদখোর সোলায়মান গংয়ের প্ররোচনায় এক ব্যক্তি পরিমাপে বাধা প্রদান করে। ফলে বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়।
মার্চ মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত বশির আহম্মদকে আনোয়ারা আর্মি ক্যাম্পে হাজির হতে বারবার ‘আর্মির মেজর’ পরিচয়ে ০১৮২৪৭৫২১৪৭ নম্বর থেকে ফোন দেওয়া হয়। এভাবে অনেক মামলা, মোকদ্দমা ও জিডি হলেও বিষয়টি মীমাংসিত হয়নি।
আমরা আমাদের মৌরশি কর্তৃক ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমাদের দখলে চাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভিন্ন পোস্টও করা হচ্ছে।
মোঃ মন্নান নামের একজন ব্যক্তি কখনো মেজর, কখনো লে. কর্নেল, কখনো ব্রিগেডিয়ার পরিচয় দিয়ে আমাদের বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
এছাড়াও সন্ত্রাসী ফাহিম ও মাদকাসক্ত মোঃ সোলায়মান অর্ধনগ্ন অবস্থায় বিশ্রী ভাষায় গালাগালি করে এবং বিভিন্ন সময়ে আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। উল্লেখ্য, তার মদপান ও মদ বিক্রির তথ্য সর্বজনবিদিত।
আমরা গরিব বিধায় তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। এমতাবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এগিয়ে না এলে যেকোনো সময় আমাদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এজন্য আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিআইজি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
