বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

সীতাকুণ্ডের ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ ফাইল স্বাক্ষরের অভিযোগ

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।

সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দিনব্যাপী জমকালো বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় নেন। বিদায় নেওয়ার আগে, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর আগে তিনি সব অবৈধ ফাইল স্বাক্ষর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ৭, ৮ ও ৯ নভেম্বর ২০২৪ সালে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে অডিট করতে এসে সিরাজ ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম খালি হাতে ফিরে যায়। অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অবৈধ ফাইল স্বাক্ষর করেছেন কে এম রফিকুল ইসলাম।

এছাড়া, ১৫ বছর ধরে এবং ২০২৪-২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রীড়া সামগ্রী লুটপাট ও ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন আরমান ও দিদার, যা কে এম রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি অবৈধ তেলের বিল ভাউচার অনুমোদন করে সেই অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। সকল প্রকার বিল ভাউচারের অবৈধ চেকে স্বাক্ষর করেছেন কে এম রফিকুল ইসলাম, যেখানে ফরিদা খানম ও আনিল কান্তি বড়ুয়া সহযোগিতা করেছেন।

এছাড়া, আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা আবাসস্থল ভবনের টেন্ডারের বৈধতা স্বাক্ষর করেছেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ আগস্টের আগের এমপি দিদার আলমের ১ কোটি টাকা ও এস এম আল মামুন এমপির ২ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ সংক্রান্ত ফাইল নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ফাইল ফরিদা খানম, আনিল কান্তি বড়ুয়া, সুমনসহ একটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অডিট ফাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি যতটুকু পেরেছি, আমার দায়িত্ব পালন করেছি। কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হবেই। আমি মানুষ, ফেরেশতা নই।”

অন্যদিকে, ঢাকা অডিট টিমের প্রধান সিরাজ ইসলাম বলেন, “আমি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ৭, ৮ ও ৯ তারিখে তিন দিনের অডিট পরিচালনা করি, তবে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট ফাইল জমা দিতে পারিনি।”

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ