সিলেট: অস্ত্রোপচারের পর শঙ্কামুক্ত সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক এই বিচারপতির চিকিৎসার্থে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শিশির চক্রবর্তী তার স্বাস্থ্যের উন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাবেক বিচারপতি মানিক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখন কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি দিয়ে জানাবে, তাকে কীভাবে রাখা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টার দায়ে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে সিলেটের কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পীযুষ চন্দ্র সিংহ বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ‘পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতিত অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন শরদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বিজিবি।
পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) তাকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে বিকেল ৪টার দিকে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালতে হাজির করার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। এতে সাবেক বিচারপতি মানিকের স্পর্শকাতর অঙ্গে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই অস্ত্রোপচার করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাবেক বিচারপতি মানিক নানা বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচিত-সমালোচিত। সম্প্রতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের নামে নোয়াখালীর আদালতে মামলা হয়েছে। একই অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আইনজীবী মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে আরেকটি মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন