চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কৃষকদের ধানিজমিতে কানি প্রতি অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্কীম ম্যানেজার বা (পানিওয়ালাদের) বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার উপজেলার কেঁওচিয়াসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পরিদর্শনে গেলে প্রতিবেদককে এমন তথ্য জানান স্থানীয় কৃষকরা।
জানা যায়, তিনদিন আগে ২৯শে এপ্রিল- কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষক বিষয়টি লিখিত আকারে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, কেওচিয়া ইউনিয়নের কৃষক কবির আহমদ ও কৃষক জসিম উদদীন জিসান সাক্ষরিত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিসারকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে কৃষক জিসান জানান,ইউএনও’র’নির্দেশক্রমে জুয়েল ও আশিষ দাশ নামে ২জন কৃষি অফিসার আমাদের এলাকায় এসে নির্দেশনা প্রদান করেন যাতে কানি প্রতি ২০০০টাকা করে গ্রহণ করা হয়।
অপরদিকে স্কীম ম্যানেজার ওসমান গনি,মোমেন,সৈয়দ ম্যানেজার এই তিনজনের যোগসাজশে আবারো পূর্বের দরে কানি প্রতি ৩হাজার টাকা উত্তোলন করার জন্য অসহায় নিরীহ কৃষকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত স্কীম ম্যানেজার আবদুল মোমেনকে কল করা হলে কল ঢুকার পর তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তাই ওনার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে পরিদর্শনে যাওয়া সাতকানিয়া উপজেলার দায়িত্বরত সহকারী কৃষি অফিসার আশিষ দাশ বলেন,হ্যাঁ ইউএনও স্যারের নির্দেশমত আমরা সরেজমিনে গেলাম,কথা বলেছি সবার সাথে বিষয়টা স্যারকেও জানিয়েছি এবং আশাকরি কৃষকদের দাবী পূরণ হবেই।
সর্বোচ্চ কানি প্রতি ২হাজার বা ২২০০টাকার ভেতর একটা হিসাব আসতে পারে
আমরা এককানিতে কিরকম ক্ষতি হয় তার খরচের তালিকা নির্ধারণ করেছি বাকিটা স্যারে সিদ্ধান্ত দিবে।
অন্যদিকে উপজেলার এওচিয়ার কৃষকদের উপর আরো বেশী জুলুম করতেছে গভীর নলকূপের মালিক বা পানিওয়ালারা তারা বিদ্যুতের দাম বেড়েছে বলে কৃষদের থেকে ৩৫০০ করে দাবী করে আসছেন বলে জানান।
বিশেষ করে এওচিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছড়ারকুল এলাকার নলকূল(ডিপ বসিয়ে) যারা কৃষকদের পানি বিক্রি করেন তারা ৩৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
কৃষকরা আরো জানিয়েছেন যদি ইউএনও মহোদয় এওচিয়ার ছড়ারকুলের যাদের গভীর নলকূপ আছে ওরা কানি প্রতি কতটাকা কৃষকদের থেকে আদায় করেন তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেন তাহলে আমরা স্বস্তি পেতাম। লোকজন আরো কৃষি কাজ করতে উদ্যোগ নিতো।