সাতকানিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম আরছা আক্তার (১১)।
গত মঙ্গলবার রাতে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি আরছা মাদ্রাসার বাথরুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়া আত্মহত্যা করেছে।
পরিবারের দাবি মাদ্রাসার শিক্ষকরা নির্যাতন করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, আরছার গলা ও কপালে দাগ দেখা গেছে। তবে এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ঘটনার খবর পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরছা আক্তার উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরতির আলিচাঁন পাড়ার জিয়াবুল হোসেনের মেয়ে ও কাঞ্চনা ফুলতলার আল–কোরআন তাহফিজুল মডেল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের বালিকা শাখার ছাত্রী।
পুলিশ ও মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, আরছা আক্তারকে ১০–১২ দিন আগে কাঞ্চনা ফুলতলার আল–কোরআন তাহফিজুল মডেল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের বালিকা শাখায় ভর্তি করানো হয়।
গত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষকরা ওই ছাত্রীকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
মাদ্রাসা ছাত্রী আরছা আক্তারের নানী লাইলা বেগম জানান, আমার নাতনিকে মাদ্রাসা শিক্ষকরা নির্যাতন করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, ওই ছাত্রীর গলা ও কপালে হালকা দাগ দেখা গেছে। ফলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার ৫ শিক্ষককে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।