ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধে এবং একনায়কত্ব ঠেকাতে সংবিধান সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে যে, প্রধানমন্ত্রী দুইবারের বেশি ক্ষমতায় আসতে পারবেন না এবং সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান আলাদা হতে হবে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদ আকড়ে ধরবেন না এবং শক্তিশালী ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করা হবে, যাতে একজন ব্যক্তির হাতে একক ক্ষমতা না চলে আসে।
কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, “আমরা চাই, সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও স্বৈরাচারী শাসন রোধ করা যায়।” তিনি আরও বলেন, “বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী একক ক্ষমতার অধিকারী, যা স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করেছে।”
তিনি জানিয়েছেন, ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশসহ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও রাখা হবে। যদিও রাজনৈতিক ঐক্যমত না থাকায় সংবিধান পুনর্লিখনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আলী রিয়াজ বলেন, “বর্তমানে এই সরকারের বৈধতা আইনগতভাবে যেমন ঠিক, তেমনি তার নৈতিকতা জনগণের গণঅভ্যুত্থানে রচিত হয়েছে।”
সংবিধান সংস্কার কমিশন সংসদ সদস্যদের পায়ে বেড়ি লাগানো এবং দলীয় অনুগত হওয়ার বিষয়েও পরিবর্তন সুপারিশ করবে, যা সিভিল সোসাইটি ও রাজনৈতিক দলের সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবিত হবে।