সন্দ্বীপবাসীর শত বছরের নৌযাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে বিভিন্ন সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২২ আগস্ট কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সব ধরনের ইজারা বাতিল করে তা কার্যকর করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গুপ্তছড়া ঘাটে এক উদ্বোধনী সভার মাধ্যমে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটের শুল্কায়ন, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা সরাসরি বিআইডব্লিউটিএ-এর অধীনে আনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিএ-এর (বন্দর ও পরিবহন) পরিচালক এ কে এম আরিফ আহম্মেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মদ মোস্তফা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম, সেনা কর্মকর্তা কর্নেল এমরান আহম্মেদ, মেজর মাসুদ, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল আহম্মদ সানতু এবং সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা।
এছাড়া সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলাউদ্দিন শিকদার, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন ঠাকুর এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক সাইফুর রহমান খান প্রমুখ।
এদিকে সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও জটিলতা নিরসনে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিএ-এর মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় চিটাগং বোট ক্লাবে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় গুপ্তছড়া-কুমিরা ঘাটসমূহের শুল্কায়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা সরাসরি বিআইডব্লিউটিএ-এর অধীনে আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১৮ বছর ধরে চলমান প্রশাসনিক জটিলতা ও অনিয়ম দূর করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সন্দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ আরও নির্বিঘ্ন হবে এবং যাতায়াতের ভোগান্তি কমবে। পাশাপাশি উন্মুক্ত ঘাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াত আরও নিরাপদ ও সহজ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।