রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মহাসড়কের পানি নিস্কাসনের ড্রেন অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন রাজাখালী ব্রিজের পাশে সরকারি জমিতে মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে পানি নিস্কাশনের ড্রেন অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে এক প্রভাবশালী চক্র। টিনের ঘেরা দিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি অবৈধ দোকান বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফটিকছড়ীর সাজ্জাদ সেলিম ও বজলুর রহমানের নেতৃত্বে একদল ব্যক্তি ড্রেন দখল করে সেখানে পাইকারি আড়ত, গুদাম ও ওয়ার্কশপ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে মহাসড়কের পাশে ভাড়ার জন্য সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে নির্মাণকাজ শুরুর প্রতিবাদ জানালে স্থানীয়দের হুমকি দিয়ে বলেন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনে তার গভীর সখ্যতা রয়েছে এবং চাইলে যে কাউকে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্মাণকাজে বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে চক্রটি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করলেও প্রশাসন নীরব রয়েছে। জানা গেছে, উক্ত জমি নিয়ে আবুল কালাম হাজী নামের এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছেন। বিচারাধীন জায়গাকে সরকারি জমি হিসেবে লিজ দেওয়ার বৈধতাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ নুর হোসেন নুরু বলেন, “মাননীয় মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে নিরলস কাজ করছেন। অথচ পানি চলাচলের ড্রেন বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলছে—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে।”

অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদ সেলিম বলেন, “আমি জায়গাটি ৪/৫ মাস আগে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। ড্রেন খালি রেখে নির্মাণকাজ চলছে।” তবে কতটুকু জায়গা লিজ নেওয়া হয়েছে—এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। নিজেকে প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে আরও বলেন, “নিউজ করলেও কিছু হবে না। শুধু নিউজ করতে পারেন, কেউ বাধা দেবে না।”

বক্সিরহাট ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজার মাহফুজুল হক বলেন, “ড্রেনের ওপর নির্মাণকাজে আমি ও সহকর্মী সৈয়দ এসরাফুল তানহা মিলে বাধা দিয়েছি। তারা বলেছেন, মেয়রের সঙ্গে কথা বলবেন। বিষয়টি আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবুও জোর করে নির্মাণকাজ চলছে।”

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এস্টেট কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমি কোরবানির আগেই অবসরে যাচ্ছি। তবুও বিষয়টি যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।”

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ