বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

শান্তি চুক্তির সুফল পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ঐতিহাসিক ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২ রা ডিসেম্বর সোমবার সকালে পরিষদের মিলনায়তন হলে আয়োজন করা হয় পার্বত্য চুক্তি পূর্তি নিয়ে এক আলোচনা সভা।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী সুমন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অত্র খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

এ সময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অত্র জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, শরণার্থী বিষয়ক  ট্রাস্কফোর্সে নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ফেরদৌসী বেগম, জেলা পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

এ সময় প্রধান অতিথি অত্র পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তার বক্তব্যে প্রারম্ভে উল্লেখ করেন সবাই আমরা যদি একটু আন্তরিক হয় একে অপরের দোষারোপ না করে কোথায় সমস্যা আছে, তা উদ্‌ঘাটন করে  সমন্বিতভাবে বিতর্কিত ধারাগুলোকে সংশোধন যোজন  করে সরকারকে সহযোগিতা করলে এবং সরকারও সচ্ছা পোষণ করলে তবে এ শান্তি চুক্তির সুফল এবং এ অমীমাংসিত ধারা পূর্ণাঙ্গ চুক্তি ও বাস্তবায়ন সম্ভব।

এ সময় সংঘাত হানাহানি কোন সমাধানের পথ নয় তাই অশান্তির পথ পরিহার করে শান্তির পথে সবাইকে কাজ করার জন্য আহ্বানও জানান তিনি। বক্তব্যে অংশ নেন পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ (অবঃ) মোঃ আবদুল লতিফ, মোঃ শহিদুল ইসলাম সুমন।

এছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় অন্যান্য অতিথিরাও বক্তব্যের ঐতিহাসিক এই চুক্তির ফলে পার্বত্যাঞ্চলে  আমূল পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে উল্লেখ করে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সবার আন্তরিকতা হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় বিভিন্ন বক্তারা পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে যদি পরিকল্পিত ভাবে সাজানো যায় তবে পার্বত্য অঞ্চলের চেহারা দ্রুত পরিবর্তন হবে এবং এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান আর উন্নয়ন হবে বলে উল্লেখ করেন। এ সময় পাহাড়ের নিরাপত্তা পরিবেশ সৃষ্টি করার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলো চাঁদাবাজি হয়রানির যার কারণে অনেকে অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলে এসে ব্যবসা করতে সাহস হারাই এবং বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নেয় বলেও  আলোচকরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এছাড়াও সভায় নিরাপত্তা পরিবেশ নিশ্চিত সম্প্রীতি সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সবাইকে আরো বেশি ঐক্য হয়ে শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ