সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

লোহাগাড়া জোনাল অফিসে ১০৭ জনের মধ্যে ৯৩ জন গণছুটিতে, গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

বিশেষ প্রতিনিধি

চার দফা দাবিতে ‘গণছুটির’ নামে অনুপস্থিত থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে এমন হুশিয়ারি দেওয়া হলেও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া জোনাল অফিসে ১০৭ জনের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ৯৩ জন গণছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিজিএম রফিকুল ইসলাম খান।

৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১০টায় লোহাগাড়া জোনাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, দপ্তরে না গিয়ে ৩-৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এলোমেলোভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিল দেওয়াসহ নানা ধরনের সেবা নিতে প্রতিদিনের মতো গ্রাহকদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

জরুরি সেবা নিতে আসা মো. হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, আমি এসেছিলাম সেবা নিতে, কিন্তু এসে দেখি কোনো লোকজন নেই। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে পাইনি। এখন ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো আরও অনেকেই সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে এ আন্দোলন দীর্ঘদিন চলতে পারে। তারা বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে, হঠাৎ কর্মবিরতি পালনের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। বিদ্যুতের সংযোগ, মেরামত ও অন্যান্য সেবামূলক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত সমস্যার সমাধান এবং বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানতে চাইলে লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গেছেন। এতে এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালনে এখন পর্যন্ত বড় আকারে কোনো প্রভাব পড়েনি।
তিনি আরও বলেন, এখন যাঁরা আছেন, তাঁদের ডিউটি বেশি দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলন দীর্ঘায়িত ও অনুপস্থিতির সংখ্যা বেশি হলে, তা আর সম্ভব হবে না।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ