বিগত কয়েক মাসে আকবরশাহ থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। বিগত ৩০/০৩/২০২৪ইং সন্ধ্যা অনুমান ০৬:১৫ ঘটিকার সময় আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনী আনুর বাড়ীর সামনে হইতে জনৈক মোঃ আজিম এর ০১টি TVS APACHE RTR 150 মোটর সাইকেল, রেজিঃ নং চট্ট-মেট্রো-ল-১৪-৭৮৪০, চুরি সংক্রান্তে আকবরশাহ থানার মামলা নং-১০, তারিখ-০৬/০৪/২০২৪ইং, ধারা-৩৭৯ দঃ বিঃ, গত ০৩/০৫/২০২৪ইং দুপুর ০১:৫২ ঘটিকার সময় আকবর শাহ্ থানাধীন আকবর শাহ্ মোড়স্থ আকবর শাহ্ জামে মসজিদ এর সামনে হইতে জনৈক মোঃ নুর উদ্দিন এর ০১টি HERO X PRO PASSION মোটর সাইকেল, রেজিঃ নং-চট্ট-মেট্রো-হ-২১-০৪৯২ চুরি সংক্রান্তে আকবরশাহ থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৪/০৫/২০২৪ইং, ধারা-৩৭৯ দঃ বিঃ, গত ৩০/০৫/২০২৪ইং সন্ধ্যা অনুমান ০৭:০০-০৮:০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময় আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোশাহ কলোনী ট্রান্সমিটার মোড় সংলগ্ন ডি লেইনস্থ জনৈক ছকিনার বাসা সামনে হইতে এনজিও কর্মী কল্যাণ মিত্র দাস এর ০১টি Discover মোটর সাইকেল, রেজিঃ নং-চট্ট-মেট্রো-হ-১৫-৮৫৭৬ চুরি সংক্রান্তে আকবরশাহ থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-০৪/০৬/২০২৪ইং, ধারা-৩৭৯ দঃ বিঃ, গত ১৪/০৬/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকার সময় আকবরশাহ থানাধীন ফয়’সলেক আব্দুল হামিদ সড়কস্থ ৩নং লেইনের ৩৮নং বাসা, লুৎফর রহমান এর বাড়ীর নিচ তলায় পার্কিংস্থল হইতে ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক এর ০১(এক)টি YAMAHA FZ-2 মোটর সাইকেল, যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-চট্ট মেট্রো-ল-১৮-৮৫০১ চুরি সংক্রান্তে আকবরশাহ থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-১৬/০৬/২০২৪ইং, ধারা-৪৬১/৩৮০ দঃ বিঃ ও গত ১৯/০৬/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৭:১০ ঘটিকার সময় আকবরশাহ থানাধীন নতুন মনছুরাবাদস্থ তাহের মঞ্জিল এর বাড়ীর নিচ তলায় পার্কিং হইতে জনৈক মোঃ লোকমান হোসেন স্বপন এর Suzuki Gixxer পুরাতন মোটর সাইকেল, যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-চট্ট মেট্রো-ল-১৮-৩১৬৬ চুরি সংক্রান্তে আকবরশাহ থানার মামলা নং-২৩, তারিখ-২৮/০৬/২০২৪ইং, ধারা-৪৬১/৩৮০ দঃ বিঃ রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তী সিএমপি’র পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এডিসি জনাব স্পিনা রানী প্রামাণিক ও পাহাড়তলী জোনের এসি জনাব মোঃ মঈনুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে আকবার শাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রব্বানী এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আল মামুন, অপারেশন অফিসার এসআই এইচ এম এরশাদ উল্লাহ, এসআই মিজানুর রশিদ, এসআই এইচ এম ওয়াহিদুল্লাহ, এসআই টিটু নাথ, এসআই হামিদুল ইসলাম, এসআই শাহাদাত হোসেন, এএএসআই এনামুল হক, এএসআই লাল মিয়াদের নিয়ে আভিযানিক টিম গঠন করা হয়। উক্ত আভিযানিক টিমের সদস্যগণ উল্লিখিত মামলা সমূহের ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনা, গুপ্তচরের দেয়া সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোটরসাইকেল চুরির মূল হোতা মেহেদী হাসান মুন্না (২২) ও তার সহযোগী মোঃ রিয়াদ হোসেন (২০) দ্বয়কে সনাক্ত পূর্বক ইং ২৮/০৬/২০২৪ তারিখ অভিযান পরিচালনা করিয়া আকবরশাহ থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার পরবর্তী আসামীদ্বয়কে উল্লিখিত মামলা সমূহের চোরাই যাওয়া মোটরসাইকেল সংক্রান্তে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদেরকে চুরির ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ভিডিও ফুটেজে নিজেদের সনাক্ত পূর্বক মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করিয়া উল্লিখিত মামলার চোরাই মোটরসাইকেল গুলো কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানা এলাকার জনৈক মোঃ মামুন খন্দকার (৩০), সাখাওয়াত হোসেন(২২) ও জিহাদ হোসেন(১৯) দের নিকট বিক্রয় করিয়াছে বলিয়া স্বীকার করে। তৎপ্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে সঙ্গে নিয়া কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানাধীন ঢালুয়া এলাকায় নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মামুন খন্দকার (৩০) ও জিহাদ হোসেন(১৯) দ্বয়কে গ্রেফতার করিলেও অপর আসামী শাখাওয়াত হোসেন(২২) কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার পরবর্তী আসামী মোঃ মামুন খন্দকার এর হেফাজত হইতে আকবরশাহ থানার মামলা নং-৭(৫)২৪, ধারা-৩৭৯ দঃ বিঃ সংক্রান্তে চুরি যাওয়া ০১টি HERO X PRO PASSION মোটরসাইকেল, রেজিঃ নং-চট্ট-মেট্রো-হ-২১-০৪৯২ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ধৃত আসামী মোঃ মামুন খন্দকার (৩০) ও জিহাদ হোসেন(১৯) দ্বয়কে আরো চোরাই মোটরসাইকেল সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, অপর ১টি চোরাই মোটরসাইকেলটি মেহেদী হাসান মুন্না ও রিয়াদ হোসেন দ্বয়ের নিকট হইতে ক্রয় করিয়া অপর আসামী শাহিনুল ইসলাম শুভ(১৯) এর নিকট বিক্রয় করিয়াছে। পরবর্তীতে ধৃত আসামী মোঃ মামুন খন্দকার (৩০) ও জিহাদ হোসেন(১৯) দ্বয়ের প্রদত্ত তথ্য মতে আসামী শাহিনুল ইসলাম শুভ(১৯) কে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানাধীন ঢালুয়া বাজারস্থ মেসার্স হক এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের সামনে রাস্তার উপর হইতে গ্রেফতার পূর্বক তাহার হেফাজত হইতে আকবরশাহ থানার মামলা নং-২৩(৬)২৪, ধারা-৪৬১/৩৮০ দঃ বিঃ সংক্রান্তে চুরি যাওয়া ০১টি Suzuki Gixxer পুরাতন মোটরসাইকেল, যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-চট্ট মেট্রো-ল-১৮-৩১৬৬ ও অপর ১ টি চোরাই এফ জেড এস ভার্সন-২ মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
অপর মামলা সমূহের চোরাই যাওয়া মোটরসাইকেল গুলো পালিয়ে যাওয়া আসামী সাখাওয়াত হোসেন(২২) এর নিকট রয়েছে মর্মে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে আকবরশাহ্ থানার মামলা নং-১০(৪)২৪, ধারাঃ ৩৭৯ পেনাল কোড এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহাদাত হোসেন চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের লক্ষ্য নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে আসামি মেহেদী হাসান মুন্না ও রিয়াদ হোসেন দ্বয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষ উভয় আসামির ০১(এক) দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি দ্বয়কে রিমান্ডে প্রাপ্ত হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল সংক্রান্তে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ আসামি দ্বয় মামলায় চুরি যাওয়া এ্যাপাচি আরটিআর-১৫০ মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে এবং উক্ত চোরাই মোটরসাইকেল ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত জেল হাজতে থাকা আসামি মামুন খন্দকার ও জিহাদ হোসেনদের নিকট বিক্রয় করিয়াছে বলিয়া জানায়। আসামি মামুন খন্দকার ও জিহাদ হোসেন দ্বয় গ্রেফতার পরবর্তী উক্ত চোরাই মোটরসাইকেল জনৈক শাখাওয়াত হোসেন এর নিকট বিক্রি করিয়াছে মর্মে জানিয়েছিলো।
তৎপ্রেক্ষিতে সিএমপি’র পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এডিসি জনাব স্পিনা রানী প্রামাণিক ও পাহাড়তলী জোনের এসি জনাব মোঃ মঈনুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে আকবার শাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রব্বানী এর নেতৃত্বে এসআই শাহাদাত হোসেন, এএসআই এনামুল হক, এএসআই লাল মিয়া ও ফোর্স সহ ইং ০৪/৭/২৪ তারিখ কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানা এলাকায় পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে শাখাওয়াত হোসেন কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামুন খন্দকার ও জিহাদ হোসেনদের নিকট থেকে একটি এ্যাপাচি আরটিআর-১৫০ মোটরসাইকেল অপর আসামি রাজীব হোসেন এর সহায়তায় ক্রয়ের কথা স্বীকার করে। অতঃপর বাদীর সনাক্ত মতে আসামি শাখাওয়াত হোসেন এর হেফাজত হতে একটি নীল রঙের এ্যাপাচি আরটিআর-১৫০ মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে আসামি রাজীব হোসেন এর নিকট আরেকটি মোটরসাইকেল বিক্রি করিয়াছে মর্মে জানায়। তৎপ্রেক্ষিতে আসামি শাখাওয়াত হোসেনের দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে রাজিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার হেফাজত হতে রেজিঃ বিহীন একটি কালো রংয়ের পুরাতন পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীগণ সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য।পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না ও রিয়াদ হোসেন দ্বয় চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থান হতে সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। চোরাই মোটরসাইকেল গুলো কম দামে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানা এলাকার মামুন খন্দকার ও জিহাদ হোসেনদের নিকট বিক্রি করে। মামুন খন্দকার ও জিহাদ হোসেন দ্বয় মোটরসাইকেল গুলো অধিক দামে শাখাওয়াত হোসেন ও রাজিব হোসেনেদের নিকট বিক্রয় করে থাকে। এভাবে হাত বদলাতে থাকে।
উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনা
১। রেজিঃ বিহীন ০১(এক)টি নীল রংয়ের APACHE RTR-150 মোটরসাইকেল, ইঞ্জিন নং-C1B7243413, চেসিস নং-MD624HC19H2B51947
২। রেজিঃ বিহীন ১টি কালো রংয়ের পুরাতন পালসার মোটরসাইকেল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানা
১। শাখাওয়াত হোসেন (২২), পিতা-মোঃ ইউনুছ মজুমদার, মাতা- ওহিদা বেগম, সাং-মোগরা, ইয়াছিন হুজুরের বাড়ী, ০৩নং ওয়ার্ড, ১২ নং ঢালুয়া ইউপি, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা,
২। রাজিব হোসেন(২২), পিতা-মোঃ ইলিয়াস প্রঃ হোরন, মাতা-সুরমা বেগম, সাং-গোফদুয়া সাদা বেপারী বাড়ী, ২ নং ওয়ার্ড, ঢালুয়া ইউপি, থনা-নাঙ্গলকোট জেলা-কুমিল্লা।