বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

‘মেসির’ নাম বলাতেই বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেয় হামাস!

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্ব জুড়ে ফুটবল প্রেমীদের বেশিরভাগই আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির অন্ধ ভক্ত। আর সেই মেসির জন্যই বেঁচে গেলেন তার এক ভক্ত।

মূলত গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে কিব্বুতজ শহরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আর এই হামলা থেকেই রেহাই পেয়েছিলেন ৯০ বছরের এক ইহুদি নারী।

সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।

৯০ বছরের বৃদ্ধার নাম এসথার কুনিও। তিনি বলেন, ‘হামাসের যোদ্ধা সেদিন আমার ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েছিল। তবে সেই সময় ভয় না পেয়ে তাদের জানাই, আমি আর্জেন্টিনার মেয়ে। যে দেশে লিওনেল মেসির বাড়ি, সেই দেশেরই মেয়ে। আর এই মেসি শব্দটাই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তখন এক হামাস যোদ্ধা অবাক হয়ে আমার তাকিয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ এবং বলেন, আমি মেসিকে ভালোবাসি। তিনি তখন আমার কাঁধে তার হাত রাখলেন এবং আমার হাতে তার বন্দুক দিয়ে দেন। এরপর আমাকে শান্তির চিহ্ন দেখাতে বলে এবং আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’

টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর কিব্বুতজ শহরে দুই হামাস যোদ্ধা ওই এসথার কুনিওর বাড়ির দরজায় প্রথমে ধাক্কা মারেন। তারপর পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। এরপরই কথা বলতে শুরু করেন এসথার কুনিও। তিনি হামাস যোদ্ধাদের প্রশ্ন করেন, আপনারা ফুটবল খেলা দেখেন? তখন যোদ্ধারা বলেন, হ্যাঁ, ফুটবল পছন্দ করি। এরপরই তিনি হামাস যোদ্ধাদের বলেন, মেসি যেখানে থাকেন, আমি সেখানকারই মেয়ে। এই নামটা শুনেই লাফিয়ে ওঠেন হামাস যোদ্ধারা। এরপরই তার সঙ্গে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন।

টাইমস অব ইসরায়েল আরও জানিয়েছে, ওই এলাকার কয়েকজনসহ বৃদ্ধার পরিবার সদস্যদের বন্দি করলেও কুনিওকে ছেড়ে দেয় হামাস। পুরো ঘটনাটা জানা যাবে একটি তথ্য চিত্রে। শিগগির সেটি প্রকাশ করা হবে।

কুনিও আরও জানান, হামাসের কাছে তার দুই নাতি-নাতনি এখনও বন্দি আছেন, তাদের নাম ডেভিড এবং এরিয়েল। এ সময় তিনি আর্জেন্টাইন সুপার স্টারের কাছে অনুরোধ জানান, তাদের উদ্ধার করার জন্য।

তিনি বলেন, ‘যদি মেসি জানে যে আমি তার নাম বলে রক্ষা পেয়েছি, তবে বলব আমার নাতি-নাতনিরা সেখানে আটকে রয়েছে। তাদেরকেও ঈশ্বর মুক্তি দিন। তারা আমার কাছে সোনার মতো মূল্যবান।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এদিন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

 

 

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ