মমতাময়ী মাকে পরিকল্পিতভাবে রাস্তায় ফেলে দেন নিষ্টুর সন্তানরা ছেলে ফেলে চলে যাবে মাকে মমতাময়ী মা কোন অবস্থাতে বিশ্বাস করতে পারেনি। মনে করছিল ছেলে জরুরী কোন কাজে গেছে এসে মাকে নিয়ে যাবে। ছেলের অপেক্ষায় অধীর আগ্রাহে মা ছেলে আসবে অপেক্ষা করতে করতে দুপুর গড়িয়ে রাত নেমে এলো, চেয়ে আছে বৃদ্ধা তার সন্তানের দিকে কিন্ত ছেলে মেয়ে আর কেউ আসেনা ।
খাতুন গঞ্জের বাবা সাধু মাঝির সাথে থাকতেন এরপর তার ছেলে দের কাছে, নতুন বাডি ও নির্মান করেছে তার ছেলে রা । বৃদ্ধা আরো বললো এক ছেলের ওই খাতুনগন্জে চা পান সিগারেট এর দোকান আছে । আজ বড়ই পরিতাপের বিষয় এই ১০ সন্তান এর কাছে তার ঠাই হলো না। মাকে বোঝা ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে গেল।
চট্টগ্রাম সাগরিকায় তাকে রেখে যাওয়ার সময়ে সন্তান মাকে বলছে একটু দাড়াও আমি আসছি ।
ছোট ছেলে তাকে রেখে চলে গেলো সেই সকালে আর এলো না । যাওয়ার আগে ১০০০টাকা মায়ের হাতে দিয়ে বললো মা আমি একটু আসি , কিন্ত সন্তান আর এলোনা । মা ও পথ চেয়ে কাটিয়ে দিলো ৮ঘন্টা।
প্রথমে বুঝতে না পারলেও শেষে মা বুঝতে পারলো কোলে পিঠে করে গর্ভে ধারন করে যে সন্তানদের মানুষ করেছে তারা তাকে ফেলে রেখে চলে গেল আর আসবেনা ।
বয়স হয়েছেতো আগের মত আর সব মনে রাখতে পারেনা ,না হয় অনেক অগেই বুঝতে পারতো তাকে আর কোন দিন কেউ নিতে আসবে না ।
তার পর হাটতে থাকে অনিশ্চিতের দিকে । রমজান মাস হওয়ায় দুপুরে তার খাওয়া হয়নি ।পরিশেষে হাটতে হাটতে চলে এলো চট্টগ্রাম সাগরিকা স্টেডিয়ামে পিছনে রুপালী আবাসিকে তার পর ওই খানে তাকে দেখে অনেকে বুঝতে পারলো হয়তো ওনি হারিয়ে গেছে ।
স্থানীয় এক যুবক তানভির প্রথমে বৃদ্ধার কাছে গিয়ে জানতে পারে আসলে ব্যাপারটা কি ।
তানভির বলে ,আমি যাওয়ার পর সব শুনি ওনার কাছে অনেক রাত ও হয়েছিলো আর বৃষ্টি ও পরছিলো তখন একটু একটু । খাতুন গঞ্জে তানভিরের পরিচিত যারা ছিলো তাদের মাধ্যমে খবর নিতে থাকে । কোন হারানোর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নাকি । কিন্ত উওর নাআসায় পাহাড়তলী থানায় ও যোগাযোগ করেন কিন্ত কেউ কোন নিখোঁজ অভিযোগ করে নি।
পরিশেষে আমি ও বুঝলাম যারা ফেলে গেছে তারা তো নেওয়ার জন্য ফেলে যায়নি । এই বৃদ্ধা মা এর নাম : মাদা খাতুন তার স্বামীর নাম : সেলিম । তাদের সাত ছেলে তিন মেয়ে সবাই চট্টগ্রাম থাকে। ছেলে নুরনবির ঘরে ছিলেন মা মাদা খাতুন ।
বৃদ্ধা বলেন ছোট ছেলে নুরনবি আর সালু দুইজন তাকে চট্টগ্রাম সাগরিকা মধ্যে রেখে চলে যায়…। আফসোস ঐ সকল সন্তানদের জন্য যারা এই পবিত্র রমজান মাসে মায়ের মত জান্নাত কে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
৯৯৯ এ কল করে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানায় এই বৃদ্ধা মাকে হস্তান্তর করা হয় । থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেফায়েত উল্লার সার্বিক সহযোগীতায় আরেক মানবিক মানুষ গোলামুর রহমান রব্বানী থানা থেকে নিয়ে তার বৃদ্ধাশ্রমে জায়গা দেন । তারা বলেন আরে যেন কোন মায়ের এই রকম না হয় , বৃদ্ধা মায়েরা যেন সন্তানদের বুকের মধ্যে থাকে এই প্রত্যাশা সকলের ।