বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুণ্যোৎসব উদযাপিত হয়, যা বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি—জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপরিনির্বাণের—স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
এই পবিত্র দিনে (রবিবার, ১১ মে ২০২৫) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ‘য়ংড বৌদ্ধ বিহার’ পরিদর্শন এবং পূর্ণিমা উপলক্ষে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বুদ্ধমূর্তি দান করেন। এ সময় তিনি পেরাছড়া ইউনিয়নের গিরিফুল, ধর্মপুর ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের আলুটিলা এলাকার বৌদ্ধ বিহারসমূহে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও পৌঁছে দেন।
এর আগে সকাল থেকে ‘য়ংড বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির’ আয়োজনে বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন দানানুষ্ঠান ও ধর্মীয় কর্মসূচি পালিত হয়। এর মধ্যে ছিল বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, পুষ্পপূজা, ধাতু চৈত্য পূজা এবং বৌধি বৃক্ষের মাঝে পানি ঢালার মতো ধর্মীয় আচার।
এতেও অংশ নেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, মং সার্কেলের চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মাস্রাথোয়াই মারমাসহ জেলার বিভিন্ন বিহারের ধর্মীয় গুরু ও নেতৃবৃন্দ।
এই আয়োজন বিশ্বশান্তির কামনা ও বুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সমাজে সহনশীলতা, মানবতা ও অহিংসা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
পরিদর্শনের ফাঁকে এক পর্যায়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বার্তা বহন করে। এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন, যেখানে বুদ্ধের জন্ম, বোধিপ্রাপ্তি এবং মহাপরিনির্বাণের মাহাত্ম্য স্মরণ করিয়ে দেয় মানব জাতিকে।