ইসরাইল বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। গত দুই দিনে সিরিয়ার ৪৮০টি স্থানে হামলা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পতন ঘটেন। এর ফলে আসাদ যুগের ৫৩ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটে।
স্বৈরাচারের পতনের তিন দিন পরেও সিরিয়ার জনগণের মাঝে উচ্ছ্বাস থাকলেও, উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার কৌশলগত সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি নৌযান, বিমান-বিধ্বংসী ব্যাটারি এবং বেশ কিছু অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার বিভিন্ন সেনা স্থাপনা, গোলা বারুদের গুদাম, বিমানবন্দর, নৌঘাঁটি এবং গবেষণা কেন্দ্রের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, আসাদ সরকারের পতনের পর অস্ত্র যাতে ‘চরমপন্থিদের’ হাতে না যায়, সেজন্যই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি প্রতিরক্ষা অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পরপরই দামেস্কের রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী, যাতে বিদ্রোহীরা এই কারখানা দখল করতে না পারে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির বলেছেন, ‘সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রয়োজন, আমরা নাগরিক পরিষেবা চালু করতে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছি।’