চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় এক পুলিশের সোর্স পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে হাবীব ও তার বাহিনীর অন্যতম সদস্য সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা, মাদক ও নাশকতা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, সন্ত্রাসীদের লালন-পালনসহ কথায় কথায় মানুষের উপর কিশোরগ্যাং লেলিয়ে দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
নগরের বিভিন্ন থানায় সালাউদ্দিনের নামে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অস্ত্র, চোলাই মদ, ধর্ষণ, হত্যার হুমকি, সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। তার ভাই রবিউল বায়েজিদ মাজারের পাশে গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রির সময় রবিউলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে র্যাব। রবিউল জামিনে বেরিয়ে আবার আগের মত ইয়াবা বিক্রি শুরু করে। এর পিছনে মূল হোতা হিসেবে কাজ করে বলে জানা যায় সোর্স সালাউদ্দিন, হামকা হাবিব, কশাই ইউছুপ, ইয়াবা সুজনের।
সূত্রে জানা যায়, হাবিবের নেতৃত্বে ধনী পাহাড় এলাকার সালাউদ্দিন প্রকাশ সোর্স সালাউদ্দিন, পশ্চিম আবাসিক এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক রুস্তম ও আমিনুলকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাত একটার দিকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে তার কাছ থেকে নগদ আট হাজার টাকা আদায় করে নেয়, এবং পরে আরও ৭ হাজার টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে রুস্তম ও আইনুল বেশি বাড়াবাড়ি করলে জামাত, বি,এন,পি, এর ভাংচুর মামলায় আসামি বানিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় বলে জানা যায়।
বায়েজিদ বোস্তামী বিআরটিসি গলির মোড়ে নিয়মিত ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করছে হাবীব বাহিনীর সদস্য জনি প্রকাশ পেটকাটা জনি। গাঁজা আনতে গিয়ে ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা যায়, জব্দ করা হয় তার সাথে থাকা মোটরসাইকেলও। মোটরসাইকেল টির ছিল সালাউদ্দিনের যার নাম্বর (চট্টমেট্রো-ল,১১-৯৭৮৩) । বর্তমানে মোটরসাইকেল টি ডিবি পুলিশের হেফাজতে আটক রয়েছে। বেশ কয়েকবার মাদক সহ র্যাব ও ডিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া জনির নামে বিভিন্ন থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, ডাকতি, ছিনতাই সহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়।
হাবিবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার নামে কোন মামলা নেই আমার বিরুদ্ধে এগুলো একটি রাজনৈতিক পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।
জানা যায, আন্তঃজেলা ডাকাতদল হামকা গ্রুপের অন্যতম হাবিবের নামে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। বায়েজিদ বোস্তামী চা বোর্ড গলির ওয়াশিং ফ্যাক্টরিতে ডাকাতির প্রধান আসামি হিসেবেও নাম আছে বলে জানা যায় হাবিবের । নগরীর পাবলিক মোড়ের স্টারশীপ ফ্যাক্টরীতে ডাকাতি ও মার্ডার মামলায় জেল খাটা আসামি হিসেবেও পরিচিত হাবিব , অস্ত্র মামলায়ও আগে গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানা যায় এই হাবিব।
এই বিষয়ে সালাউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার সিনহা মুঠোফোনে বলেন, সালাউদ্দিন নামের কাউকে আমরা চিনিনা। থানার সোর্স পরিচয়ে অপকর্ম করার কোন সুযোগ নেই। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।