বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

বান্দরবানে অবৈধ দাপুটে এক পুলিশ কনস্টেবল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মানছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবান জেলায় কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলাম চাকরি জীবনের প্রায় তের বছর সরকারি চাকরি একই অফিসে। জড়িয়ে পড়েন অনিয়ম দুর্নীতি গড়ে তোলেন জমি জমাসহ অবৈধ সম্পদের পাহাড়। নিজের নামে বেনামে রয়ছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন লোকজন থেকে লাখ লাথ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বান্দারবান জেলা পুলিশ থেকে তাকে বদলীর নির্দেশ দিলেও ক্ষমতার দাপুটে বদলীর আদেশও মানে নি। এখনো বহাল তবিয়তে থেকে নিজের ইচ্ছে মত দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে দেদারসে করছে ব্যবসা।সরকারি চাকরিরত অবস্থায় কোন ব্যবসার সাথে জড়ানো নিষেধ হলেও প্রভাবের জোরে করছেন সবই।

সরেজমিনে জানা গেছে বান্দরবান মেঘলায় নীল পাহাড় রিসোর্টের পিছনে জেলার সাবেক ডিএসবি কনস্টেবল তারেকের সাথে যৌথ রিসোর্ট ব্যবসা। রিসোর্টের নাম নেই, টিনশেড ঘর।বগুডার দই নাম দিয়ে দই এর ব্যবসা।
তার কাছে অসহায় কর্মকর্তারা। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ধামরাই ঠিকানায় পুলিশে চাকুরিতে ভর্তি হলেও পরে ঠিকানা পরিবর্তন করে বগুড়া জেলার বাসিন্দা হয়েছেন।
কনস্টেবল নুরুল ইসলাম পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে চলেন। চাকরি জীবনে আওয়ামী দোসর হলেও এখন চাকরি নেয়ার ঠিকানা পর্যন্ত পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ পরিদর্শক বলেন, আওয়ামীলীগ আমলে তার জ্বালায় অতিষ্ঠ ছিলেন অনেকে, এখন সরকার পতনের পরে খোলস পাল্টে বিএনপির অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। অথচ একজন সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক দাপট দেখানোর কোন সুযোগ নেই।
সৌদি প্রবাসী রফিকের স্ত্রী হামিদা আক্তারের কাছ থেকে যৌথ ব্যবসা করার নিমিত্তে তের লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় কনস্টেবল নুর ইসলাম। এবিষয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপারের কাছে লিথিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হামিদা।
অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য কনস্টেবল নুরুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউসার বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী চাকরির পাশাপাশি কোন ব্যবসা করতে পারে না।এটা সরকারি বিধি অনুযায়ী অপরাধ।ব্যবসায়ী পার্টনার হিসেবে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী হামিদা অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত চলছে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাছাড়া কনস্টেবল নুরুল ইসলাম কক্সবাজারে বদলি হয়েছে তাকে দ্রুত সিসি দিয়ে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ