শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

বাংলা সাহিত্যের যুগ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে  “মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য” শীর্ষক আলোচনা সভা প্রধান শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচীতে ছিল কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও কথামালায় স্মরণ মনন ও শ্রদ্ধা নিবেদন। ছাত্রী পুনম চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী। তিনি বলেন নজরুল আমাদের চির প্রেরণা। জাগরণের প্রতিভূ কাজী নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিসেস সালমা ইসলাম বলেন – যে বিদ্রোহী কবিতার জন্য নজরুল ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত হন সেই কবিতাতেই তিনি বলেছেন- ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য’। মূলত নজরুল সাহিত্যধারায় দ্রোহের পাশাপাশি প্রেমের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে যে তারুণ্যের জোরে তাঁর শির চির উন্নত-চির দুরন্ত দুর্মদ সেই তারুণ্য বন্ধনহারা ষোড়শী কুমারীর প্রেমেও উদ্দাম, চঞ্চল মেয়ের ভালোবাসায় মুখর। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতে কবি আরও বলেছেন- ‘আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেণি, তন্বী নয়নে বহ্নি,/ আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি! মুখ্যআলোচক মাস্টার অজিত কুমার শীল বলেন – বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অনন্ত প্রেমের কবি! তাঁর ছিল অফুরন্ত ভালোবাসার জগৎ! তিনি প্রেম-বিরহের কাব্য, গান-উপন্যাস বহুধর্মী সৃষ্টিশীল রূপায়ণে বাংলা সাহিত্য শিল্পাঙ্গনে হৃদয়স্পর্শী গঙ্গার মতো প্রবাহমান স্রোতধারা- যা পাঠকমনকে প্রেমের আনন্দ উপভোগ করিয়ে বিরহ-বেদনার করুণসুরে অবলোকন করিয়েছেন অপূর্ব সৃষ্টির লীলায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দীপক কুমার চৌধুরী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম দেশের জাতীয় কবি। বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ কবির রচনায়। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন শিক্ষক উবাইদুল হক, অমরনাথ চক্রবর্তী, দেবী দত্ত, তনুশ্রী বিশ্বাস, শুভাশিস নাথ, লিপি রানী শীল, মিজানুর রহমান, দিল আফরোজ হীরা, এনামুল হক, প্রকাশ ঘোষ প্রমুখ। সংগীত, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন রাজশ্রী চৌধুরী,  অদিতি বিশ্বাস, সৃষ্টি চৌধুরী, ইসরাত জাহান, প্রতিমা বিশ্বাস, পূজা দাশ, অপর্ণা বিশ্বাস, স্নেহা চৌধুরী,  মিথিলা শীল, দীঘি চৌধুরী, হৈমন্তী দেবী, অনন্যা  চৌধুরী, ত্রিবেণী চক্রবর্তী এবং বিজয়া চক্রবর্তী।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ