চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী ১৯৯২ সালে চার্স অব বাংলাদেশ কর্তৃক নির্মিত গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র (ভবনটি) প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেলেও একবারও সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত ভেঙে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন গণ্ডামারা চরপাড়া আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদ।
১৮ মে (রবিবার) সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, গণ্ডামারা ইউনিয়নের চরপাড়া ১৩৬ নম্বর আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ভবনটি চরমভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটির দুটি পিলার একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ফরিদ আহমদসহ স্থানীয় অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণের পর কখনও কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি।
একসময় দুর্যোগ দেখা দিলে পুরো এলাকার মানুষ এই ভবনেই আশ্রয় নিত। বর্তমানে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটির পাশ দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে এবং আজিজিয়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে। ভবনটি ধসে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদ জানান, “ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত ভেঙে ফেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ভবনটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, তাই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
এদিকে স্থানীয়দের দাবি তুলে ধরা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে বলা হয়, “আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রতিদিন এই ভবনের পাশ দিয়েই স্কুলে যায়, স্থানীয় মুসল্লিরাও চলাচল করেন এই পথ দিয়ে। ভবনটি ধসে পড়লে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম জানান, “এখনো পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিষয়ে কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”