চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভ্যুত্থানের শক্তি, নাগরিক, আহত ও শহীদ পরিবারের সাথে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে চন্দনাইশ উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন আদনান তাহসিন আলমদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আজহার উদ্দিন অনিক, কেন্দ্রীয় সদস্য ইমন সৈয়দ, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীল সরওয়ার কামাল, সাঈদুর রহমান, রুহুল আমিন, এডভোকেট শরীফুল ইসলাম, এস এম মুশফিক হাসান এবং সব্যসাচী জহির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানের আহত মোঃ ফরহাদ, আবদুল্লাহ মোঃ সাকিব, ইকবাল হাসান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল ফাহিম, মোহাম্মদ জসিম এবং মোঃ ইরফান উদ্দিন।
সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী। তিনি বলেন, “বিগত জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের দায়িত্ব এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সুশাসনপূর্ণ এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করা। শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তাদের স্বপ্ন ছিল একটি সুশাসিত, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ। আমাদের আন্দোলন সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।”
আজহার উদ্দিন অনিক বলেন, “আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে দেশের সংস্কার ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা যখন জনগণকে স্যার ডাকবে, তখনই আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।”
ইমন সৈয়দ বলেন, “পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থা নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি জন্মগতভাবে প্রাপ্ত সম্ভাবনা বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, সেখানে নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের সম্ভাবনা বিকাশের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশও তৈরি হবে।”
এস এম মুশফিক হাসান বলেন, “আমরা সংস্কার করতে চাই এই পঁচে যাওয়া ব্যবস্থাকে, যেখানে মানুষ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের প্রতিটি শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও মতের অধিকার, আশা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করবে। আমাদের কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ, প্রবাসী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র এবং মায়েরা-বোনেরা সবাই এর আওতায় আসবে।”
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, আনছার উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, তৌহিদুল ইসলাম সাঈদ, ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান, ডা. শাহরিয়ার, এডভোকেট মিরাজ মিয়া এবং হাসনাত আবদুল্লাহসহ চন্দনাইশের সর্বস্তরের জনসাধারণ।