বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

প্রশাসনের অভিযানের পরও চলছেই টপসয়েল কাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্কেভেটর দিয়ে মাটিকাটা সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সর্বত্র দিন-রাত ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাটি কাটায় ব্যস্ত অর্ধশতাধিক চক্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না টপসয়েল কাটা।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত ১৫ বছর ধরে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে টপসয়েল কেটেছে মাটিদস্যুরা। এই সিন্ডিকেটগুলো ৫ আগস্টের পর দল পরিবর্তন করে পুনরায় মাটি কেটে যাচ্ছে প্রতিরাতে। ধানি জমির টপসয়েল কাটার পাশাপাশি উপজেলার পাহাড়ি এলাকার টিলা কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভায় অর্ধশতাধিক মাটিকাটা সিন্ডিকেট ফসলি জমি ও পাহাড়ের টিলার মাটি কেটে নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটা, পুকুর, ডোবা, নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট এবং নিচু জমি ভরাট করছে। উপজেলার পাহাড়ি এলাকা কাঞ্চননগর, লর্ড এলাহাবাদ, হাশিমপুর, ধোপাছড়ি, বৈলতলী, চন্দনাইশ পৌরসভা, জোয়ারা, বরকল, বরমা, সাতবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটিদস্যুরা।

গাড়ি থেকে মাটি পড়ে সড়ক ধূলিময় হওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। এতে ধুলাবালির কারণে পথচারীদের সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগতে হচ্ছে। পাশাপাশি মাটি পড়ে সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, মাটি কাটা লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার একদিকে অভিযান পরিচালনা করলে তারা অন্যদিকে মাটি কাটে। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড, বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর, ডাম্পার, ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেন, মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক, অভিযান করা হয়। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে দিনরাত মাটি কাটার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ