১২ই রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দঃ)। আমাদের প্রিয় নবী, রাহমাতুল্লিল আলামিন, হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-এর এই ধরাধামে পবিত্র আগমন দিবস। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মা আমেনার কোল আলোয় আলোকিত করে এই ধরাধামে আবির্ভাব করেন রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ মুজতবা (দঃ)। মুসলিম উম্মাহসহ প্রত্যেকের কাছে এই দিন তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত।
পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ও রাহমাতুল্লিল আলামিন রাসুলের এই ধরাধামে আগমনের ১৫০০তম বছর স্মরণে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও আধ্যাত্মিক ভাবগম্ভীরতার সঙ্গে উদযাপন করতে, রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে, হুজুর গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী প্রবর্তিত “ত্বরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার” আদর্শের কিংবদন্তি পরিচর্চা কেন্দ্র, গাউসিয়া হক মঞ্জিল নিয়ন্ত্রণাধীন, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, ঢাকা জেলার ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুস ও ৭ম জাতীয় জশনে নূর-এ-মোহাম্মদ মাইজভাণ্ডারী কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জশনে জুলুসটি ঢাকা ধানমন্ডিস্থ ৪/এ (ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির রিসার্চ সেন্টার) থেকে শুরু হয়ে যথাক্রমে ধানমন্ডি ১৫, সঙ্কর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মূল সড়ক, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, ইউ-টার্ন নিয়ে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন রাস্তা, মেডিনোভা হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা অতিক্রম করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তর, পিলখানার ৪ নম্বর গেট হয়ে জিগাতলা আনন্দ হল কমিউনিটি সেন্টারে এসে কনফারেন্সে মিলিত হয়।
এরপর ঢাকা ধানমন্ডিস্থ আনন্দ হল সেন্টারে ৭ম জাতীয় “জশনে নূর-এ-মোহাম্মদ মাইজভাণ্ডারী কনফারেন্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. মাওলানা মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজি।
প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
চট্টগ্রাম বোয়ালখালিস্থ গোমন্ডী দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন, হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী (মা:)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
বুলবুলে বাংলা খ্যাত, মোফাসসিরে কোরআন, বাইতুল সালাম জামে মসজিদের খতিব ও নূরে মুজাসসাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ ফরহাদুল ইসলাম বুলবুলি।
পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত জশনে নূর-এ-মোহাম্মদ মাইজভাণ্ডারী কনফারেন্স ২০২৫-এ সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সমন্বয়কারী মোঃ ইব্রাহীম খলিল।
দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম, ইসলামি চিন্তাবিদ, সুফিতাত্ত্বিক গবেষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে জশনে জুলুস ও কনফারেন্স প্রাঙ্গণ মুখরিত ও উৎসবমুখর পরিবেশে রূপান্তরিত হয়।
কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, প্রিয় নবী ﷺ এর জীবনাদর্শ এবং গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-এর আদর্শ অনুসরণই মানবতার মুক্তি, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার পথপ্রদর্শক।
পরিশেষে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে আয়োজন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।