শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

পটিয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচন স্থগিত, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ

পটিয়া প্রতিনিধি

অবশেষে পটিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আজ শনিবার অনুষ্ঠাতব্য পটিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন স্থগিত করেন। একটানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ সম্পাদক পদটি দখলে রেখেছেন বিগত সরকারের বিতর্কিত সাবেক হুইপ ও এমপি সামশুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর আবদুল হাকিম রানা। সে পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য।  গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মনোনীত কৃষক লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিরও সদস্য ছিল। সামশুল হক চৌধুরীর প্রেস সচিব পরিচয় দানকারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য রবিউল আলম ছোটনকে আবদুল হাকিম রানার  সাজানো কমিটিতে অর্থ সম্পাদক করা হয়েছে। সাংবাদিকতায় নতুন হয়েও সামশুল হকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিগত কমিটিতে তাকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছিল। ঐ কমিটিতে ৫ জন সামশুল হক চৌধুরীর মাসিক বেতনধারী কর্মচারী ছিল।

৯ পদের নীল নকশার নির্বাচনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৮টি পদে আবদুল হাকিম রানার কূটকৌশলে তার অনুসারীদের বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত দেখানো হয়েছে। শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে আজ শনিবার ভোটের ধার্য তারিখ রাখা হয়। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে নির্বাচন করার বিষয়টি জানাজানি হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নেন। তারা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ বর্তমান সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের  অবহিত করেন। আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন পটিয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচন স্থগিত করার নোটিশ জারি করেন। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ রিদুয়ান সিদ্দিক বলেন, আওয়ামী লীগ তথা সামশুল হকের দোসরদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পটিয়া প্রেস ক্লাব পরিচালিত। পটিয়া প্রেস ক্লাব দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের নামে  আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তারা প্রকৃত সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে অতি গোপনে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া করেন। ৫ আগস্ট যে ছাত্র জনতা আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করেছে প্রয়োজনে পটিয়া প্রেস ক্লাব সংস্কার করতে সেভাবে আন্দোলনে নামবে।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শফিউল আজম নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান,একটি সাজানো প্রহসনমূলক এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রেস ক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখাসহ নানা অনিয়মের কারণে আমি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী-থেকে সরে গিয়ে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলাম।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ