যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্যা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে যে, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত সদস্য তাদের সামরিক পোশাক খুলে ফেলেছে।
তাদের জানানো হয়েছে যে, সরকারের পতন ঘটেছে এবং তারা তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে শেষ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের পর এই অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে তারা সামরিক পোশাক খুলে ফেলেন এবং বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঘোষণা করেছে যে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর দেইর এজজোরে সরকারপন্থী বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বিদ্রোহীদের দেইর এজজোরে প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ঘোষণা আসে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সিরিয়ার কিছু অঞ্চল থেকে তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হোমস এবং দামাস্কাস শহর থেকে পিছু হটছে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, গোষ্ঠীটি লেবানন সীমান্তের কাছে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুসাইর থেকেও সরে যাচ্ছে।
বিরোধী জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুই দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে এবং জাতিসংঘের সহযোগিতায় ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
অন্যদিকে, হায়াত তাহরির আল-শামের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি তার যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সেবামূলক স্থাপনায় আক্রমণ না চালায় এবং লুটপাট না করে।
এদিকে কাতার, সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, ইরাক, ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়া একটি যৌথ বিবৃতিতে সিরিয়ার চলমান সংকটকে একটি ‘বিপজ্জনক বিস্তৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং এর একটি রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।