সন্দ্বীপে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে একদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের হলরুমে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিগ্যান চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, আইন প্রয়োগে করণীয় এবং তামাকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম.কে.এম. শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে আরও সক্রিয় হতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলী আজম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. শাহাজাহান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হাসান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম, উপজেলা পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন এবং উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মঈন উদ্দিন। তারা সবাই তামাকের ক্ষতিকর দিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে এর ব্যবহার রোধে করণীয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শুধু একটি আইনি প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন—যেখানে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সাংবাদিক, শিক্ষক ও জনসাধারণ সবার সমান ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি আখতারুজ্জামান সুজন, সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ইলিয়াস কামাল বাবু, সন্দ্বীপ উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান ও সদস্য সচিব কামরুল হাসান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াছ সুমন, এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানগণ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আরও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রশিক্ষকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা রোধে সরকার ২০০৫ সালে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন” প্রণয়ন করে, যা পরবর্তীতে সংশোধনের মাধ্যমে আরও কার্যকর করা হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা আইনটির সফল বাস্তবায়নের একটি অংশ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।