বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া তাহমিনার পাশে দাঁড়ালেন ওসি কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুণ্ড

সীতাকুণ্ডে হতদরিদ্র বাবার মেয়ে তাহমিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

মেয়ে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অভাবের কারনে  কিভাবে মেয়ের পড়াশোনা চালাবে সে টেনশনে মুখের হাসি যেন বিদায় নিয়েছে ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা মিজানের। অভাবের সংসারে দু’বেলা অন্ন যোগাতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ঢাকায় রেখে মেয়েকে কিভাবে পড়ালেখা করাবেন দুশ্চিন্তার অন্ত নেই এ বাবার।

এমন তথ্য জানতে পেরে মেধাবী ছাত্রী তাহমিনার পাশে দাঁড়ালেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ২ টায় তাহমিনা ও তার বাবা মাকে থানায় ডেকে নিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন। এসময় ওসি তাহমিনার হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। আগামীতে তাহমিনার পড়াশোনায় সব রকমের সহযোগিতারও প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। যে কোন ব্যাপারে ওসির সাথে যোগাযোগের জন্য তাহমিনার বাবার হাতে ওসি তাঁর মুঠোফোন নাম্বারটিও লিখে দেন। এসময় তাহমিনার বাবা-মায়ের সামনে পড়া লেখা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে অতীত মনে রেখে মানুষের কল্যাণে নিজেকে গড়ে তুলতে উপদেশ দেন তিনি।

ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে মেয়েটি। কিন্ত আর্থিকভাবে খুবই অস্বচ্ছল। এ মেয়ে ভবিষ্যতে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে। আগামীতে তার পড়াশোনার জন্যে যত রকম সহযোগিতা প্রয়োজন আমি করবো।

তাহামিনা সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের ভ্যান গাড়ি করে ফল বিক্রেতা মিজানের মেয়ে। সে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ‘বি’ ইউনিটে ১৮১তম ও ‘সি’ ইউনিটে ৩১২তম স্থান অর্জন করেছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় ‘ডি’ ইউনিটে ৭৯তম এবং ‘বি’ ইউনিটে ৪৫৪তম হয়েছেন।

তাহমিনা ২০২১ সালে সীতাকুণ্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ২০২৩ সালে একই বিভাগে সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ