চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) র্যাব তাকে গ্রেফতার করার পর তার দেওয়া জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য উঠে আসে।
ইরফান জানান, জাহাজের মাস্টারের উপর ক্ষোভ থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন তিনি। তার কাছে থাকা একটি চাইনিজ কুড়াল, যা মাস্টারের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল, তা-ই এই নৃশংস কাজে ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, বেতন না দেওয়ায় মাস্টারের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। পাশাপাশি, অন্যরা প্রতিবাদ না করায় তাদের প্রতিও অসন্তোষ জমে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর তিনি ঘুমের ওষুধ কেনেন। ২২ ডিসেম্বর, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জের পথে রওনা হলে, চাঁদপুরের হাইনচর এলাকায় নোঙরের সময় রাতের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন।
সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, রাত সাড়ে তিনটায় প্রথমে মাস্টারকে কুপিয়ে হত্যা করেন ইরফান। এরপর, বাকি সদস্যদের একে একে হত্যা করেন। তবে, জুয়েল নামে এক সদস্যের গলায় কোপ দেওয়া হলেও, সে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়।
ভোর সাড়ে পাঁচটায় জাহাজটি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ইরফান। এক ঘণ্টা পর জাহাজটি আটকা পড়লে ট্রলারে করে পালিয়ে যান তিনি। পালানোর সময় মৃতদের ফোন নিয়ে যান এবং কারও কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেননি।
এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইরফানের স্বীকারোক্তি জনমনে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীরা ঘটনার সব দিক গভীরভাবে খতিয়ে দেখছেন।