বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রসর থাকতে হবে। এ বিষয়ে নতুন জ্ঞান ও উদ্ভাবনের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। দক্ষ গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কনফারেন্সগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, নতুন গবেষকদের নিয়ে আমরা আশাবাদী। তাদের হাত ধরেই ভবিষ্যতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে যাবে। এ ধরনের কনফারেন্স নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের আয়োজনে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে অনুষ্ঠিত “2025 International Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE-2025)” শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই) বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি ও চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং ইউজিসির হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের পরিচালক ও চুয়েটের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।
কনফারেন্স সভাপতি ও তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স টেকনিক্যাল সেক্রেটারি ও ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহেদুল ইসলাম এবং টিপিসি চেয়ার ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুবাইয়াৎ তানভীর হোসেন।
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে তথ্য-প্রযুক্তিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। সমাজে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে হবে। নতুনদের বিশ্ব ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি খাতে প্রস্তুতি থাকা জরুরি। এ ধরনের কনফারেন্স তরুণ গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, তিনদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশ্বের ১৫টির বেশি দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন। এতে পাঁচটি মূল প্রবন্ধ এবং চারটি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
এই কনফারেন্সে মোট ১,১৮৮টি গবেষণা প্রবন্ধের মধ্যে ৫২৭টি উপস্থাপনের জন্য গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৩টি অনলাইন ও ২৬৪টি অফলাইন উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রদর্শিত হবে। কনফারেন্সের স্পন্সর হিসেবে ইউজিসি, বিডিরেন, ব্র্যাকনেট, বিডি অ্যাপস ও নেসলে বাংলাদেশ যুক্ত রয়েছে।