রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মীরেরখীল নবীর হোসেন মাস্টারের ছোট ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফলজ বাগানসহ সেগুনগাছ কেটে নিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য ছিল না। গভীর রাতে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গাছ ও ফলজ বাগান কাটার সময় ঘরে থাকা নারীদের গৃহবন্দী করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা নারীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জিম্মি হয়ে পড়েন। এমনকি ঘর থেকে বের হলে গুলি করার হুমকিও দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ সময় বাড়ির আশপাশে লাগানো প্রায় শতাধিক ফলজ গাছ কেটে নষ্ট করে দেয় এবং মূল্যবান বড় বড় ৪টি সেগুনগাছ কেটে গাড়িতে করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মাস্টার নবীর হোসেন মীরেরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, তার ভাই প্রবাসে থাকেন, বাড়িতে নারী ও শিশু ছাড়া কেউ থাকেন না। এই গাছ কর্তনকারীরা স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
স্থানীয় মৃত আবুল সৈয়দের পুত্র সন্ত্রাসী আবদুল আলম ও তার পুত্র ধর্ষণ মামলায় জেলকাটা আসামি রায়হান এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও পালিয়ে থাকার কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না।
এ বিষয়ে গতকাল ২৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে খালেদা আক্তার বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আবদুল আলম, রায়হান ছাড়াও আবু ছৈয়দের পুত্র মাহাবুব আলম, শাহ আলম ও শফিউল আলম, আবদুল আজিজের পুত্র মো. মিজান, মৃত সোনা মিয়ার পুত্র আবুল আজিজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলামের নির্দেশক্রমে এসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে পুলিশ সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন সেগুন বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন যে, এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।