পূর্ব ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চার শিক্ষার্থীকে পৃথকভাবে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট থেকে জিরো পয়েন্টের মাঝামাঝি রেলক্রসিং এলাকায় মারধরের এই ঘটনাগুলো ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি। এর আগে ১নং গেইট এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
মূলত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেটে কথা কাটাকাটি থেকে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের বিজয়ের কর্মীরা একজনকে মারধর করে। এছাড়া দোকান ভাঙচুরও করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যলয় পদক্ষেপ নিবে বললেও কোনো অগ্রগতি না দেখায় স্থানীয় ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও কোনো অগ্রগতি নেই।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রেলক্রসিংয়ে গত বুধবার দুই নম্বর গেইট এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিরোধের জেরে নিজেরা মিলে আলোচনায় বসে স্থানীয় বাসিন্দারা। এসময় রেলক্রসিংয়ের সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত ও মায়েশা নামের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বিকেল চারটায় আরও দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে স্থানীয়রা। পরে ওই দুই শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করে পুলিশ। রেলক্রসিং এলাকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী জানায়, স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় পেলেই মারধর করছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।