স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন বিলের চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদফতরে না পাঠানোর কারণে সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য সহকারী জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বাজেট শাখায় প্রতি ৬ মাস পরপর বেতন বিলের চাহিদা পাঠাতে হয়। কিন্তু চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে কয়েক মাস ধরে স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে আনোয়ারা ও সাতকানিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন, অথচ চন্দনাইশ উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
চন্দনাইশ উপজেলার প্রায় ৩৭ জন স্বাস্থ্য সহকারী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরামর্শমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তারা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের টিটি/টিডি টিকা প্রদান, গর্ভবতী মা ও শিশুদের টিকা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। যদিও এইসব টিকা কার্যক্রমের ভাতা উপজেলায় জমা হয়, তবুও স্বাস্থ্য সহকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, তারা সময়মতো এই ভাতা পাচ্ছেন না।
ওই স্বাস্থ্য সহকারী আরও বলেন, “আমরা সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও অপ্রতুল জনবল নিয়েও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে আমরা জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছি।”
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রশ্মি চাকমার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো কোনো নতুন বরাদ্দ পাইনি। পূর্বের বরাদ্দ থেকে যদি কেউ টাকা না পেয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য সহকারীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করবো। অফিসের যাবতীয় সমস্যা বসে সমাধান করা হবে এবং তাদের দাবি-দাওয়া চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”