বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

চট্টগ্রাম রেলওয়ে কর্মকর্তার কুকীর্তির আড়ালে তৎপর একটি চক্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল (সিআরবি) প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সত্যকে আড়াল করতে বিভিন্ন অজুহাতে একের পর এক মিথ্যা পরিবেশন করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে, আসল ঘটনা ভিন্নভাবে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনাকে  কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে (সিআরবি) আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও  ষ্টোনোটাইপিষ্ট মাকসুদা আক্তারের (লিখি) একটি ভিডিও (এক মিনিট আটান্ন  সেকেন্ড) ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়  ঘটনার সত্যতা অনুসদ্ধানে চট্টগ্রাম রেলওয়ে (সিআরবি) আইন অফিসে যোগাযোগ করা হলে আসল ঘটনা দৃষ্টিগোচর হয়।

রেলওয়ে আইন অফিস চট্টগ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে জানা য়ায়,আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও একই অফিসের  ষ্টোনোটাইপিষ্ট মাকসুদা আক্তার (লিখি) অবৈধ সর্ম্পকের কথা উঠে আসে। তারা আরো বলেন, অফিসের বিভিন্ন ফাইলের সব অবৈধ কাজের জন্য মাকসুদা আক্তার ও আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন অবৈধ অর্থ লেনদেন সব এদু’নেই করে থাকে। তাদের অবৈধ সম্পর্কের একটি ভিডিও বর্তমানে আমার কাছে রক্ষিত আছে। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য অভিযুক্ত আইন কর্মকর্তার মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। তার সাথে আপনি বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে, কথা না বলে লাইন কেটে দেন আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন।

ভিডিও ভাইরালকে কেন্দ্র করে একই অফিসের আদালত পরিদর্শক গ্রেড-১ জিনিয়া নাসরিনকে অভিযুক্ত করে আইন কর্মকর্তা ও স্টোনোটাইপিষ্ট মাকসুদা। এনিয়ে আইন অফিসে একাধিকবার সাকসুদা ও জিনিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যথাযত কর্তৃপক্ষের নিকট।

গঠিত হয় তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা যথাক্রমে  অতিরিক্ত সিএমই(পূর্ব) সিআরবি, অতিরিক্ত  সিওপিএস(পূর্ব) সিআরবি,   ডেপুটি সিসিএম(আর)(পূর্ব)সিআরবি,

তদন্ত কমিটির রির্পোটের মাধ্যমে জানা যায়, আইন কর্মকর্তার  কার্যালয়ের উদ্ভুত বিশৃংখল পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলমান। তাছাড়া আইন অফিসের সকল কর্মচারী এবং আইন কর্মকর্তার  সাথে কথা বলে জানা যায়, আইন কর্মকর্তা চট্টগ্রামে নিয়মিত অফিস করেন না, সপ্তাহে ২/১ দিন অফিস করেন। তিনি প্রায় বন্ধের দিন শনিবার অফিস করন। তার (আইন কর্মকর্তার) মুভমেন্ট সম্পর্কে আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ে   কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সিপিও(পূর্ব) এবং পরিচালক (সংস্থাপন)  রেলভবন এর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেও আইন কর্মকর্তার অফিসিয়াল মুভন্টে এর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত  প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে যে, আইন কর্মকর্তা (পূর্ব) নিয়ন্ত্রণহীনভাবে নিজের খেয়াল খুশিমত অফিস বা চলাফেরা করেন। তার এরূপ অনিয়মিত অফিসে উপস্থিতির জন্য আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিসিয়াল পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। এর প্রক্ষিতে ষ্টোনোটাইপিষ্ট মাকসুদা আক্তার (লিখি)কে বদলী করে পাহাড়তলী অন্য অফিসে।

এবার ঢাকাটাইস প্রতিনিধি আরেক অভিযুক্ত জিনিয়া নাসরিন এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চায় ঘটনা সর্ম্পকে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন-আমি জিনিয়া নাসরিন বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিআরবিতে আদালত পরিদর্শক গ্রেড-১ হিসেবে কর্মরত আছি। গত ১৯/০৭/২০২৩ ইং তারিখে আইন দপ্তরের ষ্টোনোটাইপিষ্ট মাকসুদা আক্তার দ্বারা আমার কর্মরত অফিসে প্রকাশ্য আমার অফিস কলিগদের সামনে আমাকে অপমানিত ও লাঞ্চিত করে। ঘটনার প্রেক্ষিতে  আইনকে সম্মান করে অফিস সহকারী আইন কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করে। অভিযোগে আমার স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করার পরের দিন অর্থ্যাৎ ২০/০৭/২৩ ইং তারিখে অভিযুক্ত মাকসুদার রোশানলের স্বীকার হয়ে আইন কর্মকর্তার সামনে আমাকে হেনস্থা করে। তখন আমি নিরূপায় হয়ে ঘটনার বনর্ণা দিয়ে আমার অফিস কলিগদের পরামর্শে জি এম পূর্ব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করি। আমার অভিযোগের কথা জানতে পেরে মাকসুদা ও পাল্টা আরেকটা মিথ্যা ও বানায়াট অভিযোগ প্রশাসনের নিকট করেন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪/০৮/২৩ ইং তারিখে ৩ (তিন) সদস্য বিষিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন। এর মধ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে একটি পত্রিকায় নিউজ করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ। এ নিউজের বিরুদ্ধে  আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছি যে, আমি নাকি নিয়মিত আইন পেশায় জড়িত । মাকসুদা তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছে আমার নামে দূদকে মামলা রয়েছে যার নম্বর-২৭/২১। দুদকের মামলার যে নম্বর উল্লেখ করেছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ভূয়া মামলা নম্বও দিয়ে  প্রশাসনের নিকট উপস্থাপন করলে উক্ত বিষয় উল্লেখ করে আমি মানহানীর মামলা  করি। সিআরপিসি-১৮৯৮ (আইবি সেকশন (১) এর বিধান অনুযায়ী,সরকারী কোন দায়িত্ব পালনের সময় বা কোন কাজের জন্য সরকারেরর য়থাযত কর্তপক্ষের অনুমতি ছাড়া মামলা করা যাবে না মর্মে উল্লেখ আছে। কিন্তু কোন ব্যক্তির করা ব্যক্তিগত ইস্যুও ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য নয়। তাই আইন কর্মকর্তার অনুমতির এখানে কোন প্রয়োজন নেই। এছাড়া বিঞ্জ আদালতের এখতিয়ার না থাকলে কখনোই মাননীয় জজ মামলাটি গ্রহণ করতেন না।

তিনি আরো রবলেন,আমি চট্টগ্রাম জেলা বারে গত ১৫/১২/২০১০ ইং তারিখে সদস্যভুক্ত হয়েছি। সদস্য হলে ও আমি যেহেতু সরকারী চাকুরিরত আছি কখনো প্র্র্যাক্টিস বা আইন পেশায় জড়িত ছিলাম না। তা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক ১৫/০২/২৪ ইং তারিখে একটি প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করেন যার নম্বার ২৬/২। আমি একজন আইনজীবী বলেই আদালত পরিদর্শক গ্রেড-১ পদে আবেদন করে চাকুরি করার যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। রেকট অনুযায়ী অতিথেও বাংলাদেশ রেলওয়ের আইন কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম জেলা বারের সদস্য পদ বহাল রেখে চাকুরি করেছেন। তারাও চাকুরিরত অবস্থায় শুধু মাত্র ফি জমা দিয়ে সদস্য পদ বহাল রেখেছেন।আমিও শুধু মাত্র ফি জমা দিয়ে সদস্যপদ বহাল রেখেছি কখনো আইন পেশায় জড়িত হয়নি। আমি আমার লিন নম্বর-২০১০১২২৯৯১ প্রদান করলাম। আমি আবারো চ্যালেঞ্জ করেছি যে কেউ চট্টগ্রাম জেলা বারেরর অফিস থেকে আমার নামে কখনো কোন ওকালত নামা ক্রয় করা হয়েছে কিনা যাচাই করার জন্য আমার লিন নম্বও প্রদান করলাম। লিন নম্বও ভেরিফাই করলেই পাওয়া যাবে,আমি ওকালত নামা ছাড়া কোন আইনজীবী আইন পেশায় জড়িত হতে পারে না।

একজন আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও তারই অফিসের একজন নিম্ম কর্মচারী ষ্টোনোটাইপিষ্ট মাকসুদার  (এক মিনিট আটান্ন সেন্ডের) একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে মাকসুদাকে প্রশাসন স্ট্যান্ড রিলিজ করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলে বেড়াচ্ছে। আমি একজন আইনের মানূষ সব সময় আইনকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে চলি। সত্য কি তা আইন অফিসের সবাই জানে। আমি তাদের বিচার দাবী করি যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ