বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

চট্টগ্রামের বায়েজিদে ঐতিহাসিক নাগিন পাহাড় কেটে বানাচ্ছে অবৈধ বসতি,উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসন , গুড়িয়ে দিয়েছে টিন দিয়ে বানানো বাড়িঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ এপ্রিল রোজ (শনিবার) চট্টগ্রামের বায়েজিদে ঐতিহাসিক নাগিন পাহাড় কেটে বানাচ্ছে অবৈধ বসতি,উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসন , গুড়িয়ে দিয়েছে টিন দিয়ে বানানো বাড়িঘর।

চট্টগ্রাম জেলায় পাহাড়গুলোতে বেড়েই চলেছে অবৈধ স্থাপনা। এতে পাহাড় ধসে ঝুঁকি কোনোভাবেই কমছে না। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এসব স্থাপনা মরণফাঁদ হিসাবে দেখা দেয়।

নগরীর বায়েজিদ এলাকার ঐতিহাসিক নাগিন পাহাড়ে আবার পাহাড়খেকোদের হাত পড়েছে। ঈদের বন্ধের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্র পাহাড়ের বাকি অংশ কাটা শুরু করেছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই পাহাড়টি কাটছিল। এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালালেও তাদের তৎপরতা থামেনি।

বায়েজিদ থানাধীন নাগিন পাহাড় বড় ও উঁচু একটি পাহাড় ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক নেতাসহ নানা প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড়টি কাটতে শুরু করে। ইতোমধ্যে সেখানে আবাসিক এলাকাও গড়ে তোলা হয়েছে। পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে অনেকগুলো বহুতল ভবন। পাহাড়টির কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। সেই অংশ কেটে পাহাড়টির অস্তিত্ব মুছে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ একটি চক্র অনেকদিন ধরে পাহাড়টি কাটছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের তৎপরতা বেড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও লাভ হচ্ছে না।

আজ শনিবার বিকেলে আবারও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে সহকারী কমিশনার ভুমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এক অভিযান চালানো হয় । এসময় তিনি বলেন একমাত্র জনসচেতনতায় পারে এই পাহাড় কাটা নিধন । তিনি বলেন যারা পাহাড় কাটেন তারা দুস্কৃতিকারী ।

স্থানীয় একজন সচেতন নাগরিক বলেন পাহাড়খেকোরা অতীতের তুলনায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে পাহাড় কাটছে। এলাকায় কারা যাচ্ছে তা দেখতে এবং পাহাড় কাটার বিষয়টি মনিটরিং করতে তারা পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে। পুলিশ বা অন্য কেউ এলে যাতে তারা আগেভাগে জানতে পারে। চক্রটি পরিকল্পিতভাবে পাহাড়টিকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন কাট্টলী সার্কেলের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান , পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ