সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

গণপূর্তে কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব: নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং এক নারী সাংবাদিকের মধ্যে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেরিয়ে এখন শহরের প্রশাসনিক ও সাংবাদিক মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাংবাদিক আফসানা নুর নওশীন এবং গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক তথ্যে দাবি করা হয়, সাংবাদিক আফসানা নুর নওশীন প্রকৌশলী জহির রায়হানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই দাবিকে ঘিরেই শুরু হয় উত্তেজনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী জহির রায়হান গণমাধ্যমকে বলেন,
আমি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। মোহনা টিভির ওই সাংবাদিক আমার কাছে গণপূর্ত বিভাগের কাজ চেয়েছিলেন। আমি তাতে রাজি না হওয়ায়, এখন সে নানা রকম হয়রানি করছে এবং মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। বিষয়টি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
এছাড়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতির চট্টগ্রাম জোন থেকেও এসেছে বিস্ফোরক অভিযোগ।

সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ টিটু বলেন,
গণপূর্তে কাজ করতে গেলে আমাদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। ওই নারী সাংবাদিক নিজেকে লাইসেন্সধারী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজ আদায়ের চেষ্টা করেছেন। এমন কর্মকাণ্ডে প্রকৃত সাংবাদিকদেরও সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এছাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আরও বলেন, আমরা চাই, সাংবাদিকতার নামে কেউ যেন আর হয়রানি করতে না পারে। এটা শুধু ব্যক্তিপর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়, গোটা পেশাটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।”

বিষয়টি জানতে চাইলে আফসানা নুর নওশীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গণপূর্ত অধিদফতর এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রামের গণপূর্ত বিভাগ ও সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পড়া এই বিতর্ক এখন শুধু একটি ব্যক্তি বা ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে পেশাগত নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহির বড় প্রশ্নে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি—অভিযোগ যেই করুক না কেন, তার নিরপেক্ষ তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সাংবাদিকতা এবং প্রশাসনের পারস্পরিক আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ